বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধ না করলেও রফতানিতে নিরুৎসাহিত করতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, আমরা এতদিন ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করছিলাম। ভারতও বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত চাল রফতানি করে আসছিল। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি আমাদের জানান। নতুন এই শুল্ক শুক্রবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে চালের আমদানি মূল্য বেড়ে যাবে। যার কারণে দেশের বাজারে চালের দাম আরো বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত সরকারের শুল্ক বসানোর পরও যদি দামে পড়তা হয় তাহলে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা হবে। না হলে চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলে বিষয়টি বুঝা যাবে।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই সাথে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি দিলে গত ২৩ জুলাই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন। ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে চালের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা করে দাম কমে আসছিল। কিন্তু এরমধ্যেই ভারত সরকার নতুন ঘোষণা দিল।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply