অফিস না করেই পাঁচ মাস ধরে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমানের বিরুদ্ধে। বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে তাকে পর পর তিনটি কারণ দর্শানোর নেটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায়ও তার বিরুদ্ধে রেজুলেশন আনা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা করছেন না তিনি। উল্টো বলছেন- ‘ওপর মহল ঠিক থাকলে কোনো অসুবিধা হয় না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ কর্মকর্তা গত বছরের সেপ্টেম্বরে সাঁথিয়ায় মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নওগাঁয় ফার্ম ব্যবস্থাপক ছিলেন। সাঁথিয়ায় যোগদানের পর থেকে তিনি মাসে দু-একবার অফিসে আসেন। অথচ সারা মাসের হাজিরা স্বাক্ষর করেন।
এদিকে কর্তব্য কাজে গাফিলতির কারণে গত ২৮ জানুয়ারি সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় তার বিরুদ্ধে রেজুলেশন করে তার কপি মৎস্য বিভাগের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক পাবনা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়েছে। মিটিংয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম (সাঁথিয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে গত ২, ১১, ও ২৩ ফেব্রুয়ারি পর পর তিনটি কারণ দর্শানোর নেটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আমাদের জন্য একটা ডিসটার্ব (সমস্যা)।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, তাই হাজিরার প্রয়োজন হয় না।’ পরক্ষণেই বলেন, ‘ওপর মহল ঠিক থাকলে কোনো অসুবিধা হয় না।’
Leave a Reply