একদা ঋষি সুনক ছিলেন তার অন্যতম সমর্থক। কিন্তু সেই ঋষিই কিছু দিন আগে তার বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগের তির ছুড়ে দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। কার্যত তার জেরেই গদি হারিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে হচ্ছে বরিস জনসনকে। সেই বরিস এবার দলের ঘনিষ্ঠদের কাছে বলতে শুরু করেছেন, আর যেই হোক না কেন, ঋষিকে যেন প্রধানমন্ত্রী না করা হয়। একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবরে তেমনটাই দাবি করা হচ্ছে।
কনজারভেটিভ দলের নেতা হিসেবে এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি ধাপে ভোট হয়েছে তাতে স্পষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়েই রয়েছেন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের কর্ণধার নারায়ণমূর্তির মেয়ের জামাই ঋষি। ওই খবর অনুযায়ী, এমনটা না পছন্দ বরিসের।
ঋষির বদলে অন্য কে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন প্রকাশ্যে কোনো নাম বলছেন না বরিস। তবে ঘনিষ্ট সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাসই তার প্রথম পছন্দ। যাকে শপথ নেয়ার পরেই তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী করেছিলেন। এ ছাড়া তার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন পেনি মরডান্ট। তবে আরো যে-ই হোক ‘ঋষি কখনই নয়’।
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরিসের অনুগামীরা ইতিমধ্যেই ‘গোপনে’ জোরদার প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ঋষির বিরুদ্ধে। তবে ঋষির পদত্যাগের কয়েক মিনিটের মধ্যে ইস্তফা দেন বরিসের মন্ত্রিসভার আর এক মন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। তার বিরুদ্ধে অবশ্য কোনো ক্ষোভ নেই ব্রিটেনের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে তাকে বের করে দেয়ার পিছনে তার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষির হাত রয়েছে বলেই মনে করেন বরিস।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply