রূপপুর পরমাণু বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় বিপুল চাপ সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। রাশিয়ার রোসাটম নামের যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেই একই প্রতিষ্ঠান ভারতের তামিলনাড়ু এবং তুরস্কের আক্কুয়ুতে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দেখা গেছে বাংলাদেশের রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের গড় খরচ তামিলনাড়ুর প্রথম পর্যায়ের দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ ইউনিটের ব্যয়ের তুলনায় ২৮৫ শতাংশ আর দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ ইউনিটের তুলনায় ১০৩ শতাংশ বেশি পড়ছে। এমনকি তুরস্কের আক্কুয়ু পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের তুলনায়ও ৩০.৫ শতাংশ বেশি খরচ হচ্ছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রকল্পে। এর প্রভাব পড়বে বিদ্যুতের গড় ইউনিট উৎপাদনে। আর প্রকল্পের বর্ধিত দায় পরিশোধের চাপ পড়বে বাজেটের উপর।
তামিলনাড়ুতে প্রথম পর্যায়ের দুটি বিদ্যুৎ পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট বাংলাদেশের সাথে একই সময়ে উৎপাদনে যাবে। অন্য দিকে তুরস্কের আক্কুয়ু পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পেরও ২০২৩ সালের মে মাসে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে ২১৬০ মেগাওয়াটের নেমপ্লেট বা কার্যকর উৎপাদন ক্ষমতার দুটি ইউনিটের প্রথমটি ২০২৩ সালে উৎপাদন শুরু করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশে এ দুটি প্লান্টের নির্মাণ খরচ পড়ছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। গড় হিসাব করা হলে সমউৎপাদনের রোসাটম কর্তৃক বাস্তবায়িত তামিলনাড়ুর প্রথম পর্যায়ের দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্টের খরচ পড়ে ৩.২৮ বিলিয়ন ডলার। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের দুটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের খরচ পড়ে ৬.২৩ বিলিয়ন ডলার। আর তুরস্কের পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের একই ক্ষমতার প্লান্টের নির্মাণ খরচ পড়ে ৯.৬৯ বিলিয়ন ডলার। তুরস্ক দেশটির কুনাইয়া প্রদেশের আক্কুয়ুতে রাশিয়ার রোসাটমের মাধ্যমে ২০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৪,৪৫৬ মেগাওয়াটের মোট চারটি পরমাণুু বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণ করছে। মে ২০২৩ সালে এর প্রথমটি উৎপাদনে যাবে।
এভাবে অতিরিক্ত ব্যয়ে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক বড়ভাবে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত অবিনাশ পালিওয়াল এর গত ১৩ জুলাইয়ের এক প্রতিবেদনে। এতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের সাথে মোট দেশজ পণ্যের উৎপাদন বা জিডিপির অনুপাত বেড়েছে ২১.৮ শতাংশ, আমদানি ব্যয় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেড়েছে, ৪২ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও কমে যাচ্ছে। আমদানি ব্যয় এবং তৈরী পোশাক রফতানি থেকে আয় এবং রেমিট্যান্স দিয়ে রাজকোষে ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের সাথে তাল মেলানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে বড় চাপ সৃষ্টির একটি প্রকল্প হলো রাশিয়ার সাথে ২০১৫ সালের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি, যার জন্য ঢাকাকে ১৩.৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। কুদানকুলামে অনুরূপ একটি প্লান্টের জন্য ভারত ৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রুশ কোম্পানিকে।
হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত অবিনাশ পালিওয়াল রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যয়ের সাথে সম্ভবত সুদের ব্যয়ও যোগ করেছেন। আর ভারতের কুদানকুলামের ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত দুই ইউনিটের খরচ ধরেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে যে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ২০২৩ সালে উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে তার উৎপাদন খরচ রূপপুরের ক্ষমতার সাথে মেলালে ৬.২৩ বিলিয়ন ডলার পড়ে। একই অনুপাতে হিসাব করা হলে তুরস্কের মতো ব্যয়বহুল দেশেও পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্টের খরচ পড়ছে ৯.৬৯ বিলিয়ন ডলার।
এ দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে বাংলাদেশের পক্ষে রাশিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে লেনদেন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যার ফলে ২০২৩ সালে রূপপুর পরমাণু প্রকল্প উৎপাদন শুরু করার পর্যায়ে যেতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক অব রাশিয়ার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কারেন্সি সোয়াপের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কারেন্সি সোয়াপ তথা দ্বিপক্ষীয় মুদ্রায় বৈদেশিক লেনদেন করা হলে বিশ্ব অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক ইউরোপ আমেরিকা বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তকে কিভাবে নেবে আর এর পরিণতিতে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার শিকার বাংলাদেশকে হতে হয় কি না তা নিয়ে অনেক পর্যবেক্ষকই সংশয় প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন ক্রমেই গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে।
স্বাভাবিক ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যে বাস্তবায়নের জন্য যেসব মেগাপ্রকল্প বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলবে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প। ২০১৬ সালে ১ জুলাই ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। জুন ২০২১ পর্যন্ত এর ৩৭.৭ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়। জুন’২৩ সাল নাগাদ প্রকল্পের ৬২.৬ শতাংশ শেষ হবে এবং প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর পুরো প্রকল্প শেষ করে দ্বিতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও উৎপাদনে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিটের গ্রস উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট বলা হলেও এর কার্যকর উৎপাদন ক্ষমতা হলো ১০৮০ মেগাওয়াট।
পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্প বিভিন্ন দেশের কোম্পানির বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগত কারণে ভিন্ন ভিন্ন খরচ পড়ে। তবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোসাটম একই সময়ের একই প্রযুক্তির বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের খরচ কাছাকাছি হবারই কথা। বাংলাদেশ যে সময়ে রূপপুর পরমাণু প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে সে একই সময়ে ভারত ও তুরস্ক একই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ান কোম্পানির মাধ্যমে। সাধারণভাবে দেশভেদে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় ব্যবধান স্বাভাবিক মনে করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই খরচ কেন অস্বাভাবিকভাবে বেশি পড়ছে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো ব্যাখ্যা নেই।
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুনেলভেলি জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে দেশটির বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কুদানকুলাম নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট। ভারত তামিলনাড়–র কুদানকুলামে প্রতিটি ৯৩২ নেমপ্লেট বা কার্যকর উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ৬ ইউনিট পরমাণু বিদ্যুৎ প্লান্টের চুক্তি করেছে। ২.৮৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রথম ইউনিট ২০১৩ সালের অক্টোবরে এবং দ্বিতীয়টি ২০১৬ সালের অক্টোবরে উৎপাদনে যায়। একই ক্ষমতাসম্পন্ন ৫.৩৮ বিলিয়ন ডলারের তৃতীয় ও চতুর্থ ইউনিট উৎপাদনে যাবার সূচি রয়েছে ২০২৩ সালের জুনে। ৬.৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় সাপেক্ষ ৫ ও ৬ নাম্বার ইউনিট উৎপাদনে যাবার কথা ২০২৬ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৭ সালের সেপ্টেম্বরে। নিউক্লিয়ার পাওয়ার করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের ভিত্তিতে এটি নির্মাণ করছে রুশ প্রতিষ্ঠান রোসাটমের শতভাগ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট।
এ রোসাটমই পাবনার রূপপুরে নির্মাণ করছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির নির্মাণ ও উৎপাদনসংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাজ্যের বোর্নমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন গবেষক। আন্তর্জাতিক জার্নাল স্প্রিঙ্গারে সম্প্রতি তাদের এ বিশ্লেষণ ‘এস্টিমেটিং দি ইকোনমিক কস্ট অব সিটিং আপ অ্যা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট অ্যাট রূপপুর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্লান্ট খরচের বাইরেও পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের জন্য আরো কিছু ফ্যাক্টর যুক্ত হয়। এ ব্যাপারে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক উমামা রহমান ও যুক্তরাজ্যের বোর্নমাউথ ইউনিভার্সিটি বিজনেস স্কুলের অ্যাকাউন্টিং, ফিন্যান্স এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মেহেদী চৌধুরীর চালানো যৌথ সমীক্ষায় ভারতের কুলানদান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের সাথে বাংলাদেশের রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তুলনামূলক অর্থনৈতিক ব্যয়ের প্রাক্কলন করেছেন।
এতে তারা বাংলাদেশে ২৪০০ মেগাওয়াট গ্রস ক্ষমতার পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে অর্থনৈতিক খরচ পেয়েছেন ৯.৩৬ সেন্ট/কিলোওয়াট ঘণ্টা। এর বিপরীতে, ভারতের তামিলনাড়ুর কুদানকুলামে অনুরূপ একটি প্লান্টের জন্য, গ্রস ২০০০ মেগাওয়াট প্রকল্পের খরচ পেয়েছেন প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫.৩৬ সেন্ট। কিলোওয়াট প্রতি বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বের করার জন্য তারা ওভার নাইট খরচ, অপারেশন ব্যয়, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, ডিকমিশনিং খরচ, জ্বালানি খরচ এবং আর্থিক প্যারামিটার- করের হার, ঋণ খরচ, অবচয় খরচ এবং মূলধনের ওয়েটেড গড় খরচ যুক্ত করেছেন। এতে দেখা যায় ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইউনিট প্রতি খরচ ৭৪.৬ শতাংশ বেশি পড়বে। বাংলাদেশের প্রতি ইউনিট খরচ পড়বে ৯.৩৬ মার্কিন সেন্ট যা বর্তমান বিনিময় হার অনুসারে হয় ৮.৮০ টাকা। আর ভারতের পরমাণু বিদ্যুৎ খরচ পড়ে ৫.৩৬ মার্কিন সেন্ট যা বাংলাদেশী মুদ্রায় পড়ে ৫.০৪ টাকা।
বিশ্ব পরমাণু সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যাবতীয় সুদ বাদ দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। কুদানকুলামের নির্মীয়মাণ ইউনিট দুটিতে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ৬.২৫ বিলিয়ন ডলার। সে হিসেবে রূপপুরের ক্ষেত্রে কিলোওয়াটপ্রতি ওভারনাইট কস্ট দাঁড়াচ্ছে ৫ হাজার ২৭১ ডলারে। অন্য দিকে কুদানকুলামের বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা ৩ হাজার ১২৫ ডলার। সে হিসাবে রূপপুরে ওভারনাইট কস্ট বেশি পড়ছে ৬৮ শতাংশেরও বেশি। আনুষঙ্গিক অন্যান্য ব্যয়ে যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওভারনাইট কস্টের ওপর প্রভাব পড়ে। বিশ্লেষকদের হিসাব অনুযায়ী, সে ক্ষেত্রে তামিলনাড়ুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে ওভারনাইট কস্ট ওঠানামা করতে পারে কিলোওয়াটপ্রতি ২ হাজার ৫০০ ডলার থেকে ৩ হাজার ৭৫০ ডলারের মধ্যে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা পড়তে পারে প্রতি কিলোওয়াটে ৪ হাজার ২১৭ থেকে ৬ হাজার ৩২৬ ডলারে।
মোট ২১টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দুই দেশের নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট ব্যয়গুলোকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে উভয় বিদ্যুৎকেন্দ্রেই সক্ষমতার সম্ভাব্য গড় ব্যবহার (ক্যাপাসিটি ফ্যাক্টর) দেখানো হয়েছে ৮৫ শতাংশ। এছাড়া কিলোওয়াটপ্রতি বার্ষিক মূলধন সম্প্রসারণের ব্যয় কুদানকুলামে হতে পারে ৩১ ডলার ২৫ সেন্ট। বাংলাদেশে এর সম্ভাব্য অঙ্ক হলো ৫১ ডলার ৭১ সেন্ট।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগোলেও অনিশ্চয়তা তৈরি করছে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি। এখন পর্যন্ত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা, জরিপ ও কিছু নকশা তৈরির বাইরে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ এগিয়েছে সামান্যই। বিষয়টি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে সংশ্লিষ্টদের। তারা বলছেন, সঞ্চালন লাইন সময় মতো নির্মাণ না হলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বৃহৎ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে অলস বসিয়ে রাখতে হবে। এর বিপরীতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সক্ষমতার বিপরীতে গুনতে হবে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এর ধারাবাহিকতায় আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
Leave a Reply