যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সামনের সপ্তাহগুলোতে সৌদি আরব ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেখানে তিনি যুবরাজের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে জ্বালানির আকশচুম্বী দামের মধ্যে ওপেক প্লাস আরো তেল উৎপাদনের ঘোষণা দেয়ার পর এই সফরের ঘোষণা দেয়া হয়।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে নিরাপত্তা ও তেলের ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করে সম্পর্ক উন্নত করার জন্য পর্দার আড়ালে কাজ করছেন।
সৌদি আরবের পরে বিশ্বের ২ নম্বর অপরিশোধিত তেল রফতানিকারক রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে এই প্রচেষ্টাটির সূচনা হয়। তেল উৎপাদনে সৌদি-রুশ তরফে তেল উত্পাদনের সীমা বেঁধে দেয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এবং এর ফলে আমেরিকানরা রেকর্ড পরিমাণ উচ্চমূল্যে পাম্প থেকে তেল কিনছেন।
বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটরা তেলের উচ্চমূল্যের জন্য ভোটারদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছেন যার ফলে তেল সরবরাহের সঙ্কট শীর্ষ রাজনৈতিক দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপেক প্লাসের (ওপেক দেশগুলো প্লাস রাশিয়া) কাছে তেল উৎপাদন আরো বাড়ানোর জন্য আবেদনের ফলাফল বৃহস্পতিবার দেখা গেছে।
ওপেক দেশগুলো ঘোষণা করেছে, তারা জুলাই এবং আগস্টে প্রতিদিন ৬ লাখ ৪৮ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়াবে যা তেলের দামের কারণে বিপদে থাকা বিশ্ব অর্থনীতিকে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
উৎপাদনের এই বৃদ্ধির ফলে সরবরাহের স্বল্পতা সম্পর্কে উদ্বেগ কমতে দেখা যায়নি। ওপেক প্লাস উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ার পরও তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a Reply