1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-কুয়ালালামপুর বৈঠক আজ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২

আজ বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর। দুই দেশের মতানৈক্যে ছয় মাস ধরে ঝুলে আছে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি। এই জট খুলতে দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বৈঠকে যোগ দিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভারান ঢাকায় এসেছেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমবাজার খোলা নিয়ে কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক হলেও সিন্ডিকেট বিতর্কের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক পর্যায়েও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার নেতৃত্ব দেবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং কুয়ালালামপুরের পক্ষে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভারান।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেয়ার অনুমোদনের ঘোষণা দেয় দেশটি। ঘোষণার নয় দিনের মাথায় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। সমঝোতা স্মারকের শর্ত মোতাবেক কর্মীদের বিমান ভাড়াসহ যাবতীয় ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীরা বহন করবে। কিন্তু কর্মী পাঠানো শুরুর আগেই নতুন শর্ত আসে কুয়ালামপুরের পক্ষ থেকে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী সারাভারান প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীকে এক চিঠি দিয়ে তাদের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করার বার্তা দেয়। তবে ঢাকা এ শর্ত মেনে নিতে রাজি না হওয়ার পাশাপাশি ফিরতি বার্তায় নিবন্ধিত এক হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়ার কাছে হস্তান্তর করে।

এদিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো নিয়ে দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক দলের ভাষ্য, কর্মী পাঠানোই বড় কথা; কয়টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যাবে সেটা বড় কথা নয়। অপরপক্ষ বলছে, কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠানো যাবে না।

গতকাল বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রায় দুই হাজার নিয়োগকারীকে না রে‌খে ২৫ জনের সিন্ডিকেট দি‌য়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট করা হলে কাফনের কাপড় প‌রে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অবস্থান নেয়ার হুমকি দেয় জনশক্তি রফতানিকারকদের একাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদি কোনো সিন্ডিকেটকে শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে নিয়োগের খরচ জনপ্রতি এক লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে। ওই সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন, ২০১৯ সালে ৫৪৫ জন, ২০২০ সালে ১২৫ জন এবং চলতি বছর মাত্র ১৪ বাংলাদেশী মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে গেছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ লাখ ৫৭ হাজার ২১৩ বাংলাদেশী কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com