ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনের শেষে মুশফিকের ১১৫ রানের পাশাপাশি লিটনের সংগ্রহ ১৩৫ রান। দুই ব্যাটারই অপরাজিত রয়েছেন। ষষ্ঠ উইকেটে প্রথম দিনের শেষে তাদের পার্টনারশিপ ২৫৩ রানের। এই পার্টনারশিপেই তৈরি হলো ইতিহাস।
তামিম ইকবাল নিজের লড়াইটা নিজেই কঠিন করে তুলেছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য করেন তামিম ইকবাল। যার ফলে তার রানের খাতায় বাড়তি কিছু যোগ হয়নি। বরং মুশফিকুর রহিম ১১৫ রান করে অপরাজিত রয়েছেন। সেই সাথে তামিমের রেকর্ড ভাঙার থেকে আর ৫৪ রান দূরে অবস্থান করছেন।
ঘরের মাঠে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান এখন তামিমের। তার সংগ্রহ মোট ৭ হাজার ৬৩ রান। সেখানে মুশফিক করে ফেলেছেন ৭ হাজার ১০ রান। আর ৫৩ রান করলে তিনি তামিমকে স্পর্শ করে ফেলবেন। আর ৫৪ করলে তামিমকে ছাপিয়ে যাবেন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই যদি ২০০ টপকে যেতে পারেন মুশফিক, তবে মঙ্গলবারই নয়া নজির তিনি গড়ে ফেলবেন।
তার কারণ মুশফিকুর ১১৫ রান করে প্রথম দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন। প্রসঙ্গত, মুশফিক সোমবারই লঙ্কার বিরুদ্ধে শতরান করে ৭ হাজার আন্তর্জাতিক রান পূরণ করেন।
এই তালিকায় তিনে রয়েছেন শাকিব আল হাসান। তার সংগ্রহ ৬ হাজার ৪৮৭ রান। মাহমুদুল্লাহ চারে থাকলেও তিনি এদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে। তার সংগ্রহ ৪ হাজার ৬৯২ রান।
এ দিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েই বেজায় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ২৪ রানেই হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। দলের দুই তারকা তামিম ইকবাল ও শাকিব আল হাসান, দু’জনেই খাতা খোলার আগে সাজঘরে ফেরেন। তবে এখান থেকেই ইনিংস মেরামতির কাজ শুরু করেন মুশফিকুর ও লিটন দাস। গত ম্যাচে শতরান ফস্কালেও এই ম্যাচে প্রথমে শতরান পূর্ণ করেন লিটন দাস। তার পর নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে শতরানটি সেরে ফেলেন মুশফিকও। এই দুই ব্যাটারের কাঁধে চেপেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
Leave a Reply