সাগরে মাছ ধরার ওপর শুক্রবার থেকে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার কারণে মাছ শিকার বন্ধ রেখেছেন বাংলাদেশের উপকূলের জেলেরা। তবে জেলেদের অভিযোগ, বাংলাদেশী জেলেরা সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখলে আমাদের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশের মাধ্যমে ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার করছেন।
ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননের জন্য বঙ্গোপসাগর শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
দীর্ঘ এ সময়ে খাদ্য সহায়তা বৃদ্ধি ও নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে যাতে প্রতিবেশী দেশের জেলেরা মাছ শিকার করে না নেয়, সেই ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন বরগুনার জেলেরা।
এ বছর খুব একটা সুখকর হয়নি জেলেদের ইলিশ মৌসুম। অভাব অনাটনের সাথে কিস্তি খেলাপির যন্ত্রণা আর রোগ-শোকে কাতর এখন জেলেপল্লীর বাসিন্দারা। আটঘাট বেঁধে প্রতিবার সমুদ্রে গেলেও অধিকাংশ সময় ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারের উচিত ভারতের সাথে মিল রেখে একই সময়ে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দেয়া। ভারতীয় জেলেরা এ সময়ে আমাদের দেশে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। যার জন্য নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আর সাগরে মাছ পাওয়া যায় না।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনায় মোট ২৭ হাজার ২৭৭ জন নিবন্ধিত সমুদ্রগামী জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালে নিবন্ধিত প্রতিজন জেলে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে বিশেষ ভিজিএফ চাল পাবেন। ইতোমধ্যেই প্রথম ধাপে বিতরণের জন্য এক হাজার ৫২৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ এসেছে। দ্রুত এসব চাল বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply