1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন

চাঁদের মাটিতে জন্মাল গাছ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২

শেষবার চাঁদের মাটিতে মানুষ পা রেখেছিল সেই ১৯৭২ সালে। পঞ্চাশ বছর পরে ফের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে মানুষ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। কিন্তু চাঁদে গিয়ে থাকতে হলে মানুষের বাঁচার জন্য চাই খাবার। জীবনধারণের সেই ন্যূনতম চাহিদা মেটানো সম্ভব কিনা, তা জানতেই শুরু হয়েছিল গবেষণা। মিলল সাফল্য। চাঁদের মাটিতে জন্ম নিল গাছ!

অর্ধশত বছর আগে অ্যাপোলো অভিযানের সময়ে চাঁদ থেকে মাটি এনেছিলেন মহাকাশচারীরা। চাঁদের মাটিকে রিগোলিথ-ও বলা হয়। রিগোলিথের কিছু নমুনা সে সময়ে পরীক্ষাগারে ব্যবহার না-করে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। গবেষণাগারে সেই মাটিতেই এই প্রথম সবুজ প্রাণের সঞ্চার ঘটালেন বিজ্ঞানীরা।

নাসা জানিয়েছে, এই মাটিতে তেমন পুষ্টিগুণ নেই। তারই মধ্যে জন্মেছে অ্যারাবিডোপসিস থালিয়ানা। এদের জীবনীশক্তি খুব বেশি। অল্পেতে মরে না। গাছটিকে আফ্রিকা ও ইউরেশিয়ায় দেখতে পাওয়া যায়। শর্ষের আত্মীয় বলা যেতে পারে এদের। ব্রকোলি, ফুলকপির মতো ক্রুসিফেরাস জাতের গাছ। গবেষণাগারে এই কাজটি করে দেখিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়।

নাসার কর্তা বিল নেলসন বলেছেন, ‘চাঁদ কিংবা মঙ্গলে দীর্ঘ সময়কাল কীভাবে থাকা যায়, তার ভাবনাচিন্তা চলছে বহুদিন। এ জন্য খাবারের সন্ধান চাই। সেই ব্যবস্থা করা গেলে মহাকাশচারীরা চাঁদে থেকে গবেষণা করতে পারবেন। ল্যাবে চাঁদের মাটিতে গাছের জন্ম, সেই সম্ভাবনার দরজাই খুলে দিলো। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কীভাবে গাছের ফলন সম্ভব, তা-ও বোঝা গেল।’

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চাঁদের মাটিতে কৃষিকাজ সম্ভব। পৃথিবীর মতো অত কিছু হয়তো ফলানো যাবে না। কিন্তু গাছের জন্ম সম্ভব, সে নিয়ে নিশ্চিত তারা।

অ্যাপোলো ১১, ১২ এবং ১৭ অভিযানে মহাকাশচারীরা চাঁদের মাটি নিয়ে ফিরেছিলেন। গবেষণাগারে সেই নমুনা ব্যবহার করা হয়। সামান্য রিগোলিথে (একটি গাছের জন্য এক গ্রাম মাটি) বীজ ছড়িয়ে পানি দেওয়া হয়েছিল। যোগ করা হয়েছিল সারও। তাতেই গবেষণাগারের ট্রেতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে সবুজ চারা।

উদ্যানবিদ্যার অধ্যাপক অ্যানা-লিসা পল বলেন, ‘দুদিন বাদেই বীজ থেকে কল বেরোতে শুরু করে। বলে বোঝাতে পারব না, আমরা কী পরিমাণ অবাক হয়েছিলাম! দুরকম ট্রে ছিল। এক ধরনের ট্রেতে চাঁদের মাটিতে বীজ ছড়ানো হয়েছিল। অন্য ট্রেতে পৃথিবীর মাটিতে বীজ দেওয়া হয়। দুই ক্ষেত্রেই একই রকম গাছ হয়েছে।‘

২০ দিন বাদে ফুল আসার ঠিক আগে মাটি থেকে গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়েছিল। তারপর তা পাঠানো হয়েছিল আরএনএ সিকোয়েন্সিং-এ। জিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অ্যারাবিডোপসিসের প্রতিক্রিয়া যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে, সামান্য দুর্বল। তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ‘আসল কথা হল, গাছ জন্মেছে।’ সূত্র : সিএনএন ও আনন্দবাজার।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com