জেলার রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ মাঠে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে গত সোমবার (৯ মে) ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের ডিগ্রি পাশ ও সার্টিফিকেট কোর্সের ২য় বর্ষের পরীক্ষা গত ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে আগামী ২৫ মে শেষ হওয়া কথা। কিন্তু পরীক্ষা শেষ না হওয়ার আগেই কলেজ মাঠে মেলা কমিটির লোকজন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আয়োজন করেছে বৈশাখী মেলা। একদিকে যেমন মেলা কমিটি আইন ভঙ্গ করেছে অপরদিকে পরীক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে।
তবে সচেতন ব্যক্তিরা বলছেন, পৌরসভা এলাকায় অনেক ফাঁকা মাঠ রয়েছে। বির্তক না করে সে জায়গাগুলিতে মেলা বসাতে পারতো মেলা কমিটি। এদিকে কলেজ মাঠে মেলা বসানোর ফলে রাস্তায় সব সময় যানজট লেগেই রয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
মেলা কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের কাছে মেলার অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ডিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি লিখিত ভাবে না দিলেও মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
মেলা কমিটির সম্পাদক সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, আমরা দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মেলা করে আসছি। এটা তো বাণিজ্যিক মেলা না। এটা সাংস্কৃতিক মেলা। এই মেলা চালাতে ডিসি মহোদয় মৌখিক ভাবে অনুমতি দিয়েছেন।
রাণীশংকৈল থানার অফিসার ইনর্চাজ এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, বৈশাখী মেলা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। এগুলো ইউএনও সাহেব ভালো জানেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলছেন দিনের বেলায় মেলা বন্ধ রেখে পরীক্ষা চলবে। সমস্যা কিছু হবেনা।
জানতে চাইলে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সইদুল হক বলেন, মেলা পরিচালনার জন্য ডিসির মৌখিক অনুমতি আছে। তবে যেদিন পরীক্ষা চলবে সেদিন ১৪৪ ধারা শতভাগ বলবৎ থাকবে।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, ১৪৪ ধারা নিদির্ষ্ট সময়ের জন্য জারি থাকে। যখন পরীক্ষা চলবে তখন সাধারন মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। পরীক্ষার সময় এবং মেলার সময় ভিন্ন। পরীক্ষার সময় যেভাবে ১৪৪ ধারা জারি থাকে সে নিয়মেই চলবে। লিখিত অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
Leave a Reply