মাঠে নামার আগেই ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদের লড়াই ছড়িয়েছিল উত্তাপ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাতেও ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকে সেটাই দেখা যায়। তাইতো দেড় মিনিটের মাথায় দেখা মেলে গোলের! ম্যানচেস্টার সিটি করে দারুণ শুরু। ১১ মিনিটে তারা স্কোরলাইন করে ২-০। প্রবল চাপের মুখে পড়া রিয়াল মাদ্রিদকে আরও একবার পথ দেখান করিম বেনজেমা। অসাধারণ নৈপুণ্যে জালে বল পাঠান ভিনিসিউস জুনিয়র। তবে শেষ পর্যন্ত দলটিকে তারা রক্ষা করতে পারেননি ম্যানচেস্টার সিটির ফুটবলের সামনে। এ কৌশলেই ৭ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচ সিটি জিতে নেয় ৪-৩ গোলে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে কেভিন ডে ব্রুইনের গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাব্রিয়েল জেসুস। বেনজেমা একটি গোল শোধ দিয়ে আশা জাগালেও ফিল ফোডেনের হেডে আবারও তা মিউয়ে যায়। তবে রিয়ালের আশা আবারও জাগান ভিনিসিউস। এরপর বের্নার্দো সিলভার ঘটনাবহুল গোল এবং শেষে গিয়ে বেনজেমার সফল স্পট কিক। ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে এই নিয়ে টানা তিনবার রিয়ালকে হারাল সিটি।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় সিটি। ডান দিকে সতীর্থের পাস পেয়ে দুই জনের বাধা পেরিয়ে ছয় গজ বক্সের মুখে ক্রস বাড়ান রিয়াদ মাহরেজ। আর ডাইভিং হেডে গোলটি করেন ডে ব্রুইনে। একাদশ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় সিটি। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে অনায়াসে লক্ষ্যভেদ করেন জেসুস।
জোড়া গোল খেয়ে তেতে ওঠার চেষ্টা করলেও পারছিল না রিয়াল। তবে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর উপলক্ষ পায় ৩৩তম মিনিটে। প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের দারুণ শটে গোলটি করেন রিয়ালের হয়ে সব মিলিয়ে ৬০০তম ম্যাচ খেলতে নামা বেনজেমা। নকআউট পর্বে এই নিয়ে টানা ৪ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধেরও প্রবল চাপের মুখে নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না রিয়াল। প্রত্যাশিতভাবে ৫৩তম মিনিটে তৃতীয় গোলও পেয়ে যায় সিটি। রক্ষণ ছেড়ে আক্রমণে উঠে আসা ফের্নান্দিনিয়ো ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সে আর হেডে বল জালে জড়ান ফোডেন। এ যাত্রায় পাল্টা জবাব দিতে একেবারেই দেরি করেনি রিয়াল। বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৬৭তম মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ পেয়েছিলেন এমেরিক লাপোর্তে; তবে গোলমুখ থেকে তার দুর্বল শট রুখে দেন দেন থিবো কোর্তোয়া। এর সাত মিনিট পর ব্যবধান আবারও দুই গোলে বাড়ান সিলভা।
এদিকে ৮২তম মিনিটে সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন বেনজেমা। বক্সে হেড নিতে যান তিনি। তার সঙ্গে লাফিয়ে ওঠা লাপোর্তের হাতে বল লাগায় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
Leave a Reply