আসছে মধুমাস। গ্রীষ্মের এই মৌসুমে এখন বাজারে কাঁচা আম মিলছে, কদিন পর পাকা আমও উঠবে। বছরের এই সময়টিতে আমের নেশায় মজে বাঙালিরা। আমতো আমরা সবাই কমবেশি খেতে পছন্দ করি, কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন আমের আঁটি আমাদের কোনো উপকারে আসে কিনা। সাধারণত আম খাওয়ার পর আমরা আঁটিটা ফেলে দিই। কিন্তু পুষ্টিগুণে আম যেমন অনন্য, তেমনি আমের আঁটিতেও রয়েছে সমানভাবে পুষ্টি উপাদান। আসুন জেনে নিই কী কী গুণ আছে :
১) আমের আঁটিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ফলেটের মতো উপকারী উপাদান। আমের আঁটিতে ম্যাঞ্জিফেরিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২) আমের আঁটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। ফলে যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খেতে পারেন আমের আঁটি।
৩) খুশকির সমস্যায় আমের আঁটি খুবই উপকারী। আমের আঁটি শুকিয়ে গুঁড়ো করে মাথার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তা চুলে লাগাতে পারেন। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন চিরতরে। খুশকি ছাড়াও চুল ওঠার সমস্যা দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন আমের আঁটির গুঁড়ো।
৪) অতিরিক্ত ওজন কমাতেও দারুণ সাহায্য করে আমের আঁটি। আমের আঁটি গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন। গরম জলে মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে এই আমের আঁটির বীজ। গরম দুধে সেই গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
৫) শিশুদের দাঁতের মাড়ি মজবুত করতে তাদেরকে আমের বীজ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে মায়েরা খাওয়ার পর আমের আঁটি বা বীজটা শিশুর মুখে দেন। এটি চাবানোর পর মাড়ির ব্যথা অনেকটাই কমে যায়। পাকা আমের আঁটিতে থাকা সুস্বাদু অংশ মুখে নেওয়ার মাধ্যমে শিশু তার মাড়ির ব্যথা অনেকটাই ভুলে যায়। সূত্র : আনন্দবাজার।
Leave a Reply