গ্রীষ্মকালে যেসব ফল আমাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে তার মধ্যে তরমুজ অন্যতম। গরমের সময় তরমুজ খেলে দেহমনে প্রশান্তি আসে। শুধু তাই নয় পুষ্টি গুণে ভরা তরমুজ দেহের পুষ্টি চাহিদা দ্রুত পূরণ করে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে। আমরা সাধারণত খোসা ও বীজ ফেলে দিয়ে তরমুজের রসাল শাঁসটুকুই খাই৷ সেখানেই এই খাদ্যগুণের অনেকটা বিসর্জন দিয়ে দিই আমরা। কিন্তু অনেক পরিবারেই তরমুজের খোসার তরকারি খাওয়া হয়। আসুন, দেখে নিন তরমুজের খোসার গুণ:
১. লাইকোপেন ও অন্যান্য ফ্ল্যাভনয়েড থাকায় এই ফল প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এর ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না তরমুজ।
২. তরমুজের খোসায় প্রচুর পটাশিয়াম আছে। ফলে ফলের শাঁসের মতো এর খোসাও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। পাশাপাশি এর ফলে কমে হৃদরোগের আশঙ্কাও।
৩. ভিটামিন সি-এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল তরমুজের খোসা। তাই এই খাবার ডায়েটে থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তরমুজের খোসায় এক দিকে প্রচুর ফাইবার। অন্যদিকে, এতে ক্যালরি খুব কম। তাই যারা ডায়েট করছেন, তারা অবশ্যই এই খাবার ডায়েটে রাখুন।
৪. তরমুজের খোসায় আছে প্রাকৃতিক শর্করা৷ ফলে অন্তঃসত্ত্বাদের মর্নিং সিকনেস সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদান৷ তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ এ সময়ে ফুলে যায়৷ তরমুজের খোসার পটাশিয়াম সেই সমস্যাও দূর করে৷
৫. যৌন সম্পর্ক বিঘ্নিত হলে বিঘ্নিত হয় দাম্পত্য বা প্রেম। কিন্তু জীবনে স্ট্রেস বেড়ে যাওয়ায় লিবিডো কমে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন অনেক পুরুষই। লিবিডো বাড়াতে ডায়েটে রাখুন তরমুজের খোসা। ইরেক্টাইল ডিসফাংশনসহ একাধিক সমস্যা দূর করে এই উপাদান। ভায়াগ্রা না হলেও যৌনক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর তরমুজের খোসা।
৬. তরমুজের খোসা দিয়ে নিরামিষ তরকারি রান্না করে খেতে পারেন। অনেকটা পেঁপের মতো স্বাদ পাবেন। চাইলে মেশাতে পারেন চিংড়িও। তৈরি করতে পারেন জ্যাম, জেলি, স্মুদি বা স্যালাড৷ প্রত্যেকটির উপকরণ হতে পারে তরমুজের খোসা। সূত্র : নিউজএইটিন বাংলা।
Leave a Reply