বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মা-বাবার সঙ্গে দেশে আসার পর আটকে রাখার অভিযোগ আনা সেই তরুণী অবশেষে নিজ দেশে ফিরছেন। আজ রোববার হাইকোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রাব্বানী ওই তরুণীকে কানাডা দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঢাকায় ১০ মাস ধরে তাকে আটকে রেখেছিলেন বাবা-মা।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কানাডা দূতাবাসকে তাকে কানাডায় পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তার বসবাস ও পড়াশোনার খরচ বহন করতে বলেছেন।
তরুণীর বাবা-মায়ের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, কানাডায় ফিরে না যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটি ঢাকায় কানাডা দূতাবাসের হেফাজতে থাকবে। তার বাবা-মা, যারা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক, তারা সে দেশের আইন অনুযায়ী কানাডায় তাদের মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
রিট পিটিশনের শুনানির সময় আগের নির্দেশনা অনুসারে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হন মেয়ে ও তার বাবা।
মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) করা রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেডআই খান পান্না এবং সারা হোসেন।
Leave a Reply