এশিয়ার বাইরে টেস্ট মানেই বাংলাদেশের বড় হার- এমন ধারণা পাল্টে গেছে। টাইগাররা এখন লড়তে জানে। জানে, কীভাবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে ম্যাচ জিততে হয়। ওয়ানডে সিরিজে টিম বাংলাদেশের সক্ষমতা খুব কাছে থেকে দেখেছেন ডিন এলগার। প্রোটিয়া টেস্ট অধিনায়ক তাই সমীহ জানাচ্ছেন মুমিনুল হক বিগ্রেডকে। বলেছেন, ‘টেস্ট সিরিজও হবে জমজমাট। বাংলাদেশ যে আগের দল নেই!’
পাকিস্তান ও ভারতের পর এশিয়ার তৃতীয় দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের দুটিতে স্বাগতিকদের ¯্রফে উড়িয়ে দেয় টাইগাররা।
ব্যাটে-বলে পাত্তাই পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ প্রোটিয়াদের এ দলটাই ভারতকে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিল গত জানুয়ারিতে।
বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডেতে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়েই কথা বলছেন স্বাগতিক অধিনায়ক এলগার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওয়ানডেতে যা ঘটেছে তাতে ছেলেরা বেশ হতাশ। আমি ৫০ ওভারের ফরম্যাটে নেই, তারপরও সিরিজের ফলাফলে কষ্ট পেয়েছি। দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্টে ভালো করার ক্ষুধা কাজ করছে। আমি জানি বাংলাদেশ পুরনো দল নয়।’
বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার পেছনে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচদের অবদান দেখছেন এলগার। টাইগারদের হেড কোচ হিসেবে আছেন রাসেল ডমিঙ্গো। সম্প্রতি পেস বোলিং কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন কিংবদন্তি পেসার অ্যালন ডোনাল্ড। আর ওয়ানডে সিরিজে পাওয়ার হিটার হিসেবে কাজ করেছেন এলবি মরকেল। তাদের দিকনির্দেশনা দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। এলগার বলেন, ‘নতুন দলটি পশ্চিমা কোচিং স্টাফের (দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ) সঙ্গে সুপরিচিত। এখানে কীভাবে খেলতে হবে সেই ব্যাপারে দলের ধারণা ও মানসিকতা বদলে দিয়েছেন তারা। নিঃসন্দেহে দারুণ একটি সিরিজ হবে।’
Leave a Reply