নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে লঞ্চটি উদ্ধার করেছে। এর আগে গতকাল রোববার রাতেই উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। তবে উদ্ধারের সময় লঞ্চের ভেতরে কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি।
আজ সোমবার ভোরে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটি-এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটি-এর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ডসহ একাধিক সংস্থা।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে, ভেতরে প্রাথমিকভাবে আমরা কোন মরদেহ পাইনি।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চটিতে প্রায় ৭০ জনের মত যাত্রী ছিলো বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, সর্বমোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই মুন্সীগঞ্জের। ২ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
এখন পর্যন্ত ৬ জন নিহতের মরদেহ পাওয়া গেলেও নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪ জনের। এরা হলেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রতিটি মরদেহের সাথে প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হচ্ছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজ শেষ হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply