পঞ্চগড় সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী গোলাম আযমের (৫৩) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়ির বিছানা থেকে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, গোলাম আযমকে মাথায় আঘাত করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
জানা গেছে, স্ত্রীসহ তিন সন্তান নিয়ে জেলা শহরের ধাক্কামারা ইউনিয়নের ঘাটিয়ারপাড়া এলাকায় ওই বাড়িতে বসবাস করতেন গোলাম আযম। তার বড় ছেলে লিমন বাইরে থেকে পড়াশুনা করছে। বাড়িতে তিনিসহ স্ত্রী বন্যা আক্তার, ছেলে বাধন ও ছোট মেয়ে পিংকি থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সন্ধ্যার পর গোলাম আযমের মেয়ে পিংকি বাবাকে ডাকতে তার রুমে ঢোকে। এ সময় বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে সে তার মা ও ভাইকে ডাকে। বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা থাকার পরও এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
রফিকুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা কয়েকজন বাইরে দোকানে চা খাচ্ছিলাম। দোকানদার বললেন, ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে। আমরা বাড়িটির কাছে যাই। ভেতর থেকে গেট লাগানো ছিল। দেয়াল টপকে গেট খুলে ভেতরে গিয়ে আমরা গোলাম আযমের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখি। তার মাথার একাংশ মারাত্মকভাবে জখম ছিল। মগজ বের হয়ে গেছে। আর তার স্ত্রী-সন্তানরা কান্না করছিল। পরে খবর পেয়ে পুলিশ আসে।’
এ ব্যাপারে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যসহ যাকেই সন্দেহ হচ্ছে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পিবিআই, সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। পরে আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
Leave a Reply