‘দেশে ফিরতে চাই। শিপিং কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকেও ক্যাপ্টেনের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে, কিন্তু কীভাবে এই অবস্থা থেকে মুক্ত হবেন তা এখনো জানেন না’, বলছিলেন নাবিক আতিকুর রহমান মুন্না। ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে আটকেপড়া বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৯ জন নাবিকের একজন তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাহাজটি বিমান হামলার শিকার হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে এ হামলা হয়। এতে জাহাজে আগুন ধরে প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান নিহত হয়েছেন। তিনি জাহাজটিতে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আতিকুর রহমান দেশে ফেরার তীব্র আকুতির কথা জানিয়ে বলেন, অনেক দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ তিনি জানেন না কবে এই আটকেপড়া দশা থেকে মুক্তি পাবেন।
তিনি জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত থাকায় বহির্বিশ্বের খবর খুব একটা পাচ্ছেন না। তবে আশপাশে যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়। যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন আকাশ থেকে বোমা ফেলতে দেখেছেন। একইভাবে অলভিয়া বন্দরের আশপাশে গত রোববার তারা অনেক বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। এসব কারণে তাদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
আতিকুর আরও বলেন, জাহাজে যে খাবার মজুদ আছে তা দিয়ে সব ক্রুর ৪০ দিন পর্যন্ত টিকে থাকা সম্ভব হবে, খাবার পানি আছে প্রায় ১০০ টনের বেশি। তাই আপাতত খাবার ও পানি নিয়ে চিন্তা করছেন না। যত দুশ্চিন্তা দেশে ফিরতে পারবেন তো?
মোবাইল সংযোগ কাজ করছে, তবে ইন্টারনেট সংযোগ খুব সীমিত। জাহাজের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে মাঝে মাঝে বাংলাদেশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই বন্দর থেকে যাত্রা করে এবং তুরস্কের ইরেগলি হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছায় ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। ইউক্রেন থেকে সিরামিক ক্লে নিয়ে ইতালির রেভেনা বন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।
Leave a Reply