1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অনিশ্চয়তা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে গেছে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়। এরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তির এই প্রক্রিয়ায় চলতি বছরেই যুক্ত না হয়ে বরং ‘অবস্থা পর্যবেক্ষণের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ এই ভর্তির প্রক্রিয়ায় অংশ না নিলে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারের উচ্চ মহল থেকেও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শুরু থেকেই আগ্রহ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন- ইউজিসি ইতোমধ্যে একাধিক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সাথে সরকারের আগ্রহের বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে ঢাকায় এক জরুরি বৈঠক করার কথা থাকলেও পরে ভিসিদের অনাগ্রহের কারণে সেই সভাটিও পরে স্থগিত করা হয়। এত আয়োজনের পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের স্বাতন্ত্র্যের কথা বলে এবং একাডেমিক কাউন্সিলের দোহাই দিয়ে সরকারের আগ্রহে সাড়া না দিয়ে শেষ পর্যন্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

এ দিকে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন কৃতী শিক্ষার্থীদের ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ প্রদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজকের এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা উপস্থিত থাকবেন। ধারণা করা হচ্ছে, সমন্বিত ভর্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে ভিসিদের উপস্থিতিতে আজকের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী হয়তো তার মতামত জানাবেন।

ইউজিসি সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সভা সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চায় ইউজিসি। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসিরা অংশ নিয়ে সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।

তবে যেহেতু এসব বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩ সালের বিশেষ আইন ও ধারা অনুযায়ী স্বতন্ত্রভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, তাই নিজেদের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা ছাড়া চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে তারা ওই সভাতেই অপারগতা প্রকাশ করেন।
ইউজিসির সাথে গত ১২ ফেব্রুয়ারির ভিসিদের বৈঠকের পর প্রথমে ২০ ফেব্রুয়ারি বুয়েট তাদের সিদ্ধান্ত জানায় যে, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় তারা অংশ নিচ্ছে না। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে, তারা নিজের মতো করেই ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনার ঘোষণা দেয়। এরপর একে একে ঢাবি, চবি, রাবি এবং সর্বশেষ গতকাল জাবি তাদের একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করে এ বছরই তারা সমন্বিত ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। তবে এরা প্রত্যেকেই একাডেমিক কাউন্সিল বা শিক্ষা পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং ‘অবস্থা পর্যবেক্ষণের’ কথাও জানিয়েছে।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সম্মেলন কক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৬২তম সভায় অংশ নিয়ে প্রত্যেকেই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে তাদের মতামত দেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বা তাদের কোনো প্রতিনিধি ওই দিনের সভায় উপস্থিত না থাকলেও দেশের ২৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিগণ ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় অংশ নিয়ে ভিসিরা বলেন, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা নিতে আমরা একমত। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির আলোকে প্রণীত পৃথক প্রশ্নপত্রে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনটি শাখার বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজগুলোর স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তির জন্যও এ প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে।

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ জানান, আমরা এখনো আশাবাদী। কেউ যদি না আসে তাহলে তাদেরকে বাদ দিয়েই আমরা এটা করতে চাই। কেউ যদি এক বছরের জন্য ‘অবস্থা পর্যবেক্ষণের’ কথা বলে না আসতে চায় তাহলে আমাদের তো কিছু করার নেই। যারা থাকবে তাদেরকে নিয়েই আমরা চলতি বছর থেকেই সমন্বিত ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু করতে কাজ করছি।

তিনি আরো জানান, আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ইউজিসিতে আবারো সভা আহ্বান করা হয়েছে। সেখানেও প্রত্যেক ভিসিকে ইনভাইট করা হয়েছে। বুধবারের বিকেলের সভাতেই প্রকৃত অবস্থা কী, সেটি জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com