কোনো কোনো দেশ বাংলাদেশের ওপর অসন্তুষ্ট। এই অসন্তুষ্টির কারণ খুঁজে তা দূর করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তার দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠির জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই। আমরা আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি “কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব” মেনেই কাজ করছি। আমরা সেই নিরপেক্ষ নীতি ধরে রাখতে চাই। আমরা সবার সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চাই।’
চিঠির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখি কী জবাব আসে। আমরা তাদের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি তাদের জবাবে ইতিবাচক কিছু আসবে, আমরা এ নিয়ে আশাবাদী।’
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘কিছু কিছু দেশ কী কারণে অসন্তুষ্ট, সেটি আমরা শোধরানোর চেষ্টা করব। তারা কোনো মিথ্যা তথ্যের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে আমরা তাদের সত্য তথ্য দিয়ে বোঝাব। আশা করি, তারা আমাদের বুঝবে। কারণ, ওই সব দেশের নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা দায়িত্বশীলও বটে। তা ছাড়া আমরা আমাদের দুর্বলতাগুলোও চিহ্নিত করে তা সংশোধনের চেষ্টা করব।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে। চিঠিতে র্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার জন্য ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Leave a Reply