র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এটি রাতারাতি সমাধান করা যাবে না। ধাপে ধাপে করা লাগবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পারবে র্যাবের বিষয়ে তাদের ধারণা সঠিক নয়। তবে রাতারাতি পরিবর্তন হবে- তা আমি আশা করি না।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের কালিঘাটে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর গণমাধ্যমে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যেভাবে র্যাবের-যে সংস্থাটি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও ভরসা পেয়েছে- ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
র্যাবকে একটি ‘কার্যকরী সংস্থা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্থাটি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না।
এমনকি মার্কিন সরকার পর্যন্ত বলেছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাস, মাদক ও মানব পাচার রোধে সহায়তা করেছে র্যাব, যোগ করেন ড. মোমেন।
তিনি বলেন, র্যাবের কয়েকজন সদস্য যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে যখন পুলিশের হাতে কেউ মারা যায় তখন তাকে বলা হয় ‘বিচার বহির্ভূতহত্যা’ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এটি ঘটলে বলা হয় ‘দায়িত্ব পালনের সময়’ মারা গেছে। আর এ জন্য কোনো সংস্থার প্রধানকে শাস্তি দেয়া হয় না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলছে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ছয় শ’ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এক লাখ মানুষ নিখোঁজ হয়। তাই এটা বড় কোনো বিষয় না তাদের জন্য। কিন্তু একই জিনিস বাংলাদেশে ঘটলে তারা বলেন এনফোর্স ডিসএপ্যায়েরিং।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সূত্র : ইউএনবি
Leave a Reply