অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ২৩ জনের দাফন সরকারিভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে দুটি কবরে দুজন করে ২১ কবরে ২৩ জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরগুনার জেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে বরগুনার পোটকাখালী গ্রামে খাকদোন নদীর তীরবর্তী গণকবরে এসব মরদেহ দাফন করা হয়।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, শনাক্ত না হওয়ায় ২৩টি মরদেহ সরকারিভাবে দাফন করা হয়েছে। তারপরেও কোনো স্বজন যদি মরদেহ শনাক্ত করতে পারেন তবে তাদেরকে কবর বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসা চলছে। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা
এর আগে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে চার মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে বরগুনা এসে পৌঁছায় ৩৭টি মরদেহ। এরপর রাতেই পাঁচটি এবং আজ শনিবার নয়টি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে, শনাক্ত না হওয়ায় বাকি ২৩ মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply