রামুতে বিদ্যুতের শট দিয়ে হত্যা করা একটি বন্যহাতির খণ্ড-বিখণ্ড মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার ও মামলা দায়ের হয়েছে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকার ধানক্ষেত থেকে হাতিটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার নজির আহমদ (৭০) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে সাজ্জাদ বলেন, সোমবার রাতে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের মির্জা আলীর দোকান সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় স্থানীয় ধানক্ষেতে ৫/৬টি বন্যহাতির দল খাবার খেতে নামে। এ সময় ধানক্ষেতটির মালিক নুরুল ইসলাম ও তার স্বজনরা হাতিগুলো তাড়ানোর চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে তারা ধানক্ষেত থেকে তাড়ানোর জন্য হাতিগুলোকে বিদ্যুতের শট দেয়। এতে অন্য হাতিগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একটি হাতি ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে মৃত হাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খণ্ড-বিখণ্ড করার পর ধানক্ষেতে মাটি চাপা দেয়।
স্থানীয় এ বন কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সহকারী ভূমি কমিশনার রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এতে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে হাতিটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা রামু থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং কক্সবাজার বন আদালতে ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।
Leave a Reply