প্রতিপক্ষের নেতার বাসায় খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করায় নোয়াখালীর বসুরহাটের ফেন্সী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে ওই রেস্টুরেন্টে এই তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদের মির্জার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ প্রায়ই ফেন্সী হোটেল থেকে খাবার কিনে নেয়। এ কারণে প্রতিপক্ষের নেতার বাসায় খাবার বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগ তুলে এ রেস্তোরাঁয় তালা মেরে দেওয়া হয়। তালা মেরে দেওয়ার পর থেকে হোটেলের ম্যানেজারসহ অন্যান্য কর্মচারীরা হোটেলের সামনে অবস্থান করছেন।
ফেন্সী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে কে খানা নেয়। আমাদের এখান থেকে খানা যায় কোন খানে। আমরা কোন খানে খানা দি। আমাদের খানা কোথায় যায়? এগুলো নিয়ে বিকেল ৫টার দিকে গালাগালি করে হোটেল বন্ধ করে চলে যায় কাদের মির্জা।’
জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেন, ‘আমরা কখনো এ হোটেল থেকে খাবার ক্রয় করি না।’
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি। তবে তার পক্ষে উদ্ধৃতি দিয়ে হামিদ উল্যা হামিদ নামের একজন বলেন, রেস্টুরেন্টটি খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে এবং রেস্টুরেন্টের সামনে ময়লা ফেলে রাখে, মোটরসাইকেল জ্যাম তৈরি করে। তাই রেস্টুরেন্টে তালা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, তার কাছে এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
Leave a Reply