1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হবে না : ঢাবি ভিসি হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়নি, গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে : র‌্যাব বিক্ষোভ ঠেকাতে পাঞ্জাব-ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম করে নির্যাতনের পর আদালতে তোলা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল আমাকে হত্যা করতেই হামলা চালানো হয় : সালমান খান বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে রেলওয়ে অতীতের মতোই অগ্নি সন্ত্রাস করেছে বিএনপি-জামায়াত: প্রধানমন্ত্রী বাইডেন-নেতানিয়াহুর বৈঠকে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা

করোনাকালীন অ্যালার্জিজনিত সমস্যা ও প্রতিরোধের উপায়

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

অ্যালার্জি : অ্যালার্জি হচ্ছে ইমিউন সিস্টেমের একটা দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা পরিবেশের কোনো অ্যালার্জেনের কারণে শরীরে হাইপারসেনসিটিভিটি দেখায় কিংবা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দেখায়।

অ্যালার্জেন : যদি কোনো বস্তু বা উপাদান কোনো মানুষের শরীরে হাইপারসেনসিটিভ রিয়েক্ট দেখায় সেসব বস্তু বা উপাদানসমূহ সেসব মানুষের জন্য অ্যালার্জেন।

অ্যালার্জিক রিয়েকশন : কোনো অ্যালার্জেন শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীরে যেসব অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায় তাকে অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশন বলে। আবার এটাকে হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশনও বলা হয়। হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশনকে চার ভাগে ভাগ করা যায়, তবে চার প্রকারের মধ্যে টাইপ-১ হাইপারসেনসিটিভিটি নিয়ে এখানে আলোচনা করব। কোনো অ্যালার্জেন দ্বারা শরীরের যেসব হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশন দেখা দেয় তাকে টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশন বলা হয়। অ্যালার্জি হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমরা যা বুঝে থাকি তা মূলত টাইপ ওয়ান হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশনকে বোঝায়।

অ্যালার্জিক সাধারণ প্রতিক্রিয়াসমূহ

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস : অনেক সময় দেখা যায়, বৃষ্টিতে ভিজলে, পুকুরে গোসল করলে, ধুলোবালিতে গেলে, একটু ঠাÐা লাগলে বা কোনো ঠাÐা পানীয় পান করলে কারও কারও সর্দি-কাশি শুরু হয়। আবার একই কাজগুলো অন্যরা করলে তাদের কিছুই হয় না। তা হলে বোঝা গেল বৃষ্টির পানি, ধুলোবালি, পুকুরের পানি বা ঠাÐা জলীয় বস্তু কারও জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে আর কারও কারও জন্য এটা স্বাভাবিক হিসেবে থাকে। এই স্বাভাবিক বস্তুগুলো যাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে তাদের সর্দি-কাশি শুরু হয়ে যায় তাকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বলা হয়।

অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হলে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের মিউকাস মেমব্রেনসমূহ আক্রান্ত হয় এবং হিস্টামিনের প্রভাবে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ মিউকাস তৈরি হয়। শ্বাসযন্ত্রে লুউকোট্রিন নামক এক প্রকার পদার্থ তৈরি হয় যা কাশি তৈরিতে শ্বাসযন্ত্রকে উত্তেজিত করে। তা হলে আমরা বুঝতে পারলাম, নাক দিয়ে পানি পড়া তথা সর্দি-কাশি, সঙ্গে হালকা গায়ে গায়ে জ্বর থাকা এসব কিছু অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণে হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় রাইনো ভাইরাস অ্যালার্জি হিসেবে কাজ করে। করোনা ভাইরাসেও একইরকম ফিচার দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে আরটি পিসিআর করোনা পরীক্ষা করা উচিত দ্রæত।

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস বা চোখের অ্যালার্জি : অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস মূলত চোখের একটি এলার্জিজনিত রোগ। এ সময় চোখ লাল হয়ে থাকে। চোখ থেকে পানি পড়ে, ব্যথা করে। ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা দেয়। যাদের শরীর কোনো নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনের প্রতি অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের মতো অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

কিছু শিশুর দেখা যায়, পুকুরে গোসল করলে বা খেলাধুলা করলে কিংবা বাইরে চলাফেরা করলে তাদের চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ থেকে পানি পড়ে এবং ব্যথা করে, চোখ চুলকায়। এগুলো মূলত অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিসের কারণে হয়ে থাকে।

ফুড অ্যালার্জি : অনেকের গোশত বা বেগুন বা বাইরের খাবারে শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যায়। বমি বমি ভাব হয়। এগুলো মূলত অ্যালার্জির কারণে হয়ে থাকে। তাদের শরীর ওইসব খাবারের জন্য উপযোগী নয় এবং ওইসব খাবার যদিও অন্যদের জন্য স্বাভাবিক তবে তাদের জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। তাই তারা যখন ওই খাবারগুলো খায় তখন সারা শরীর চুলকাতে থাকে এবং লাল হয়ে যায়। তা হলে বুঝতে হবে গোশত তার জন্য অ্যালার্জেন।

ড্রাগ অ্যালার্জি : কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তারা কোনো অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার পর তাদের শরীর চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। তা হলে বুঝে নিতে হবে ওই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিও তার হাইপারসেনসিটিভিটি রয়েছে এবং ওই অ্যান্টিবায়োটিক তার জন্য অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করছে। যদি কারও এমন হয়ে থাকে তা হলে সে ওই অ্যান্টিবায়োটিক পরিবর্তন করে অন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে। কোনো মেডিসিন ব্যবহারের ফলে যদি কোনো হাইপেরসেন্সিটিভিটি রি-অ্যাকশন শুরু হয় তবে সে প্রকার অ্যালার্জিকে ড্রাগ অ্যালার্জি বলা হয়ে থাকে।

এটপিক অ্যাকজিমা : এক প্রকার অ্যালার্জিক স্কিন কন্ডিশন। যা অ্যালার্জিক রি-অ্যাকশনের কারণে হয়ে থাকে।

চিকিৎসা : প্রথমে জেনে রাখা ভালো, অ্যালার্জির স্থায়ী কোনো চিকিৎসা নেই। কারণ এটার সম্পর্ক ইমিউন সিস্টেমের সঙ্গে। তাই যাদের যেসব বস্তু বা খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে তা পরিহার করে চলাই ভালো। আর অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরার কারণে যাদের অ্যালার্জিক উপসর্গগুলো দেখা দেয় তারা মেডিসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।

লেখক : চিকিৎসক, ঢাকা কমিউনিটি

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com