হাতুড়ি পিটুনির ঘটনার পর কুষ্টিয়ার আলোচিত ঠিকাদার শহীদুর রহমান মিন্টুর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে। মিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্যবসার পার্টনার বানানোর কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করা।
প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা তাকে ‘চিটার মিন্টু’ বলে ডাকেন। কুষ্টিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান মাস্টার জানান, একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় মিন্টু তাকে এলজিইডির একটি কাজের পার্টনার করার কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭২ লাখ টাকা নেন। সেই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও টাকা না দেওয়ায় তিনি সালিশ-দরবার করেন। কিন্তু আজ দেব, কাল দেব বলে সম্পূর্ণ টাকা আজও মিন্টু পরিশোধ করেননি।
এ ছাড়া খোকন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকার বিটুমিন বাকি নিয়ে টাকা পরিশোধ না করে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে মিন্টু. ‘আমি বহু কষ্টে আমার টাকা দীর্ঘদিন পর উদ্ধার করেছি।’ তিনি আরও বলেন, সময়মতো টাকা ফেরত না দেওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন মিন্টুর ওপর। এ কারণে মিন্টুকে মারপিট করা হতে পারে খোকনের ধারণা। এলজিইডির এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, শহীদুর রহমান মিন্টুর কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। সে কারণে তার প্রতি সকলেই ক্ষুব্ধ।
ঠিকাদার মিন্টু বিএনপির ব্যানারে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন একাধিকবার। নির্বাচনী পোস্টারে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি এবং ধানের শীষ প্রতীক ব্যবহার। বিষয়গুলো মিন্টু স্বীকারও করেছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে ঠিকাদার মিন্টু বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি। ইউপি নির্বাচনের পোস্টারে ধানের শীষ আর বিএনপির নেতানেত্রীদের ছবি থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর খলিল মাস্টার আমার আত্মীয়। তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম, আবার দিয়েও দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘মারপিট করার ব্যাপারে আমি মামলা করতে চাইনি। আসামি ধরার পর আমাকে দিয়ে মামলা করানো হয়েছে। আমি এ মামলা চালাতে ইচ্ছুক নই।’
Leave a Reply