বগুড়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ উপজেলার কাগইল রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার জনার্দনপুর গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার শিমু (৪৫) ও মেয়ে বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আফরিন জাহান অমি (১৫)। দুর্ঘটনায় আহত হন মোটরসাইকেল চালক ব্যাংক কর্মকর্তা আলতাফ আলী।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আলতাফ আলী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহরে গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি করেন। মেয়ে অমির বগুড়ায় পড়ালেখার সুবাদে পরিবার নিয়ে বগুড়া শহরের লতিফপুর মধ্যপাড়ায় বাস করেন। রোববার বিকেলে আলতাফ আলী তার গ্রামের বাড়ি থেকে স্ত্রী-মেয়েকে শহরের বাসায় পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার কাগইল রাস্তার মোড় এলাকায় পৌঁছালে আলতাফ আলী মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। একপর্যায়ে মোটর সাইকেলের পেছনে থাকা তার স্ত্রী ও মেয়ে ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান। এ সময় বগুড়াগামী একটি বাস তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই বাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত আলতাফ আলী তার নিহত স্ত্রী-মেয়ের মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যান।
শিবগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলজার হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। অনেক সময় অপেক্ষা করার পর পুলিশ না পৌঁছালে মরদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ওই পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply