দেশের কারগারগুলোতে ৪৬ হাজারের কিছু বেশি ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ৮৮হাজারের বেশি কারাবন্দি রয়েছেন বলে সংসদকে জানিয়েছেনর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার বিকালে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, কারাগারগুলোতে আধুনিক করার জন্য কাজ করছি। কারাগারগুলোতে প্রায় ৪৬ হাজারের মতো ধারণ ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু আমাদের কারাগারে বন্দি আজ পর্যন্ত ৮৮ হাজারের অধিক কারাবন্দী রয়েছে। এই বিশাল চাপ রয়েছে কারা অধিদফতরের ওপর। শুধু নতুন কারাগার তৈরি করছি না। যারা কারাগারে আসছেন তারা যেন এখান থেকে বের হয়ে অপরাধে না জড়ান সেজন্য তাদের নানাভাবে প্রশিক্ষত করে দক্ষ করে তুলছি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ সালে টানা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু হয়েছিল। সে সময় কে কাকে কখন হত্যা করা হচ্ছিল, হত্যার একটা হলিখেলা শুরু হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় আজকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছি। দেশের মানুষকে একত্রিত করে জঙ্গি দমনে সফল হয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে এই তিন মেয়াদেই পুলিশের জনবল বাড়িয়েছেন। প্রায় ৮২ হাজার জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশের যখন যেটা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী সেটাই দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সাজাতে পেরেছি বলেই সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছি। এখন ‘৯৯৯’ এ কল করলেই নানা রকম সেবা পাচ্ছে মানুষ। যার যেরকম সেবা দরকার সেই সেবা মানুষের দৌঁর গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছি। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশের সঙ্গে বিজিবিকেও শক্তিশালী করেছি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সেই চ্যালেঞ্জে আমরা নিয়েছি। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আমরা মাদককে নির্মূল না করলেও কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর ই-পাসপোর্ট সংযোজন করেছি। পাসপোর্ট নিয়ে আর কারো কখনো বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
সাইবার ক্রাইম বন্ধে এনটিএমসি গঠন করেছি যে কারণে আমরা অপরাধীদের লোকেশন সনাক্ত করতে পারছি।
Leave a Reply