বগুড়ার কাহালুতে আতাইর রহমান শিরু (২৪) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পায়ে পেরেক এবং সুঁচ ঢুকিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
গত বুধবার গভীর রাতে কাহালু উপজেলার অহর মালঞ্চা গ্রামে আতাইর রহমান শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এ নির্যাতন চালানো হয় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় শিরুর বাবা মজনু সোনার বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মামলা করেন। পরে ঘটনায় জড়িত থাকায় আছিয়া বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে মালঞ্চা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শিরুর বাবা মজনু সোনার জানান, গত বুধবার গভীর রাতে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে যায় একই গ্রামের সেলিনা, আছিয়াসহ তার পরিবারের পাঁচ থেকে ছয়জন নারী-পুরুষ। পরে তাকে সেলিনার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে গ্যাস সিলিন্ডার চুরির অভিযোগে প্রথমে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। পরে শিরুর আঙুলে সুঁচ ও বাম পায়ে হাতুড়ি দিয়ে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতেই অভিযুক্তদের বাড়ি থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার চুরি হয়। যে কারণে তারা চোর সন্দেহে শিরুকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে। বৃহস্পতিবার সকালে কাহালু থানা পুলিশ শিরুকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল তিন মিনিট ছয় সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি লাঠি হাতে শিরুর দুই পা বেঁধে নির্যাতন করছে। আর চারপাশে স্থানীয় লোকজন তা দেখছে। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়। পুলিশ আছিয়া ছাড়া আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অন্যান্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply