২০১৩ সালের শিশু আইনে স্পষ্টই বলা আছে, অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক, অপরাধে জড়িত শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতেই হবে। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুকে শাস্তি দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। অথচ ২০০৯ সালের আইন অনুযায়ী গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) শিশুদের শাস্তি দিয়েই চলেছেন। গত শনিবারও কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কমলপুর পঞ্চবটির ফারুক মিয়ার ছেলে মো. শান্তসহ (১৭) তিন শিশুকে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৭(২) ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করে তাদের এ সাজা দেন ভৈরব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা। শাস্তি দিয়ে সাজা পরোয়ানাসহ ওই শিশুদের গাজীপুরের টংগীর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র এবং কোনাবাড়ীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। অথচ এই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৭(৩) ধারাতেই বলা আছে, শিশুদের বিচার হবে ২০১৩ সালের শিশু আইন অনুযায়ী।
আইনজীবীরা বলছেন, শিশু আইন লঙ্ঘন করে শিশুদের এ সাজা দিতে পারেন না মোবাইল কোর্ট। এর আগেও শিশু আইন লঙ্ঘন করে মোবাইল কোর্টের সাজা দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রায়টি পরবর্তী সময়ে আপিল বিভাগ স্থগিত করেছেন। বর্তমানে বিষয়টি আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, যে রায়ও স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। বর্তমানে
মোবাইল কোর্টের বৈধতার বিষয়টিও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এ অবস্থায় শিশুসহ সবার আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখতে মোবাইল কোর্টের বিষয়টি আপিল বিভাগকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশু আইনের পাশাপাশি হাইকোর্টের একাধিক রায়েও বলা হয়েছে, শিশুর বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগের বিচার শুধু শিশু আদালতেই হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত দূরের কথা, অধস্তন আদালতের কোনো বিচারক শিশুদের বিচার করলেও তা হবে বেআইনি। সর্বশেষ গতকাল বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানায় চার শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নেওয়া এবং শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানার ওই সময়ের ওসি মো. আবুল কালামসহ ৭ পুলিশ সদস্য ও সমাজসেবা অফিসারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিশু আদালতের বিচারক না হয়েও সাজা দেওয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনায়েত উল্লাহর ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে তাকে দেওয়ানি মামলার দায়িত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে ২০০৭ সালে হাবিব ম-ল বনাম রাষ্ট্র মামলায় দেখা যায়, এক শিশু ধর্ষণ করে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদ- দেন। কিন্তু হাইকোর্ট তাকে বেকসুর খালাস দেন। কারণ, শিশুটির বিচার শিশু আদালতে হয়নি। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একই ধরনের আরেকটি রায় দেন। ১৫ বছরের আবদুল জলিল একটি ধর্ষণ মামলায় ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যাবজ্জীবন কারাদ- পায়। হাইকোর্ট বলেছেন, শিশু আইন বাদ দিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক ধরে নিয়ে ভুল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার সাজা হয়। তাই তা বাতিল করা হলো। জলিল ১৪ বছর সাজাভোগ করে। হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ বাবদ জলিলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে রাষ্ট্রকে নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর একটি পত্রিকায় ‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দ-’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি ওই দিনই হাইকোর্টের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আবদুল হালিম। এরপর হাইকোর্ট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দ-িত দুই শিশু সংশোধন কেন্দ্রে থাকা ১২ বছরের নিচের শিশুদের অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেন। এ ছাড়া বাকিদের ছয় মাসের জামিন দেন। একই সঙ্গে ভ্রম্যমাণ আদালতে শিশুদের দ- প্রদান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর পর বিভিন্ন সময়ে ওসব শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত বছরের ১১ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট।
ঘোষিত রায়ে বলা হয়, সংবিধানের তৃতীয় ভাগে থাকা অনুচ্ছেদগুলো অন্য নাগরিকের মতো শিশুদের মৌলিক অধিকারও নিশ্চিত করেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া শিশুদের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একই সঙ্গে প্রসিকিউটর ও বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, যা আইনের শাসনকে আঘাত করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত কোনো শিশুর বিচার করতে পারেন না। কেননা, শিশু আইন একটি বিশেষ আইন। শিশুর বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগের বিচার শুধু শিশু আদালতে হতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও শিশুদের বিচার করা যাবে না, বিচার হলে তা আইনের দৃষ্টিতে শুরু থেকেই অবৈধ।
রায়ে আরও বলা হয়, নথি পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ৩২ মিনিটে ২৩ শিশুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। এত অল্প সময়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষে এভাবে জবানবন্দি গ্রহণ একেবারেই সম্ভব নয়। তাই মোবাইলকোর্ট আইনের সংশোধন এবং এ ধরনের কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ দেওয়াটা জরুরি। পাশাপাশি শিশুদের মোবাইলকোর্ট কর্তৃক যে কোনো দ-দানের প্রচেষ্টা এখন থেকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী এবং শিশু আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের বিচার ও দ- আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হলো। হাইকোর্টের এই রায়ের পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। পরে গত বছরের ১৬ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত করেন। বর্তমানে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে শিশুকে শাস্তি : বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৭(২) ধারায় শনিবার ভৈরবের তিন শিশুকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা তার আদেশে উল্লেখ করেন। কিন্তু ওই আইনের ৭(৩) ধারায় বলা হয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারী-পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে তার বিচার হবে শিশু আইন-২০১৩ অনুযায়ী। আইনটির ৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোনো নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তিযোগ্য হইবেন : তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৮ এর অধীন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা দ- প্রদান করা হইলে উক্তরূপ অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী বা পুরুষকে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না।’ এই আইনের ৭(৩) ধারায় বলা হয়েছে উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।’ তাই ভৈরবের তিন শিশুকে শাস্তি প্রদান অবৈধ হয়েছে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা এভাবেই মোবাইলকোর্টে বিচার করছি। সবার ভালো দিক বিবেচনা করে কাজ করছি। শিশুদেরকে ৭(২) দারায় সাজা দিয়েছি। তবে ৭(৩) ধারা আমার জানা ছিল না।’
মোবাইলকোর্টই প্রশ্নের মুখে : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১১টি ধারা ও উপধারাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। ২০১৭ সালের ১১ মে হাইকোর্ট ওই রায় দেন। এর পর ১৪ মে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই রায় স্থগিত রেখেছেন। ফলে আপাতত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। তবে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়ায় এর বৈধতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। মোবাইলকোর্ট পরিচালনার আইনগত বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন।
শিশু আইনে যা বলা আছে : ২০১৩ সালের শিশু আইন বলছে, ‘বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সব ব্যক্তি শিশু হিসেবে গণ্য হবে।’ ১৬ ধারা বলছে, ‘আইনের সঙ্গে সংঘাতে আসা শিশুর সংঘটিত যে কোনো অপরাধের বিচার করবার জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে এক বা একাধিক শিশু আদালত থাকবে। কোনো অপরাধ সংঘটনে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু একত্রে জড়িত থাকলেও শিশুর বিচার শুধু শিশু আদালতই করবে। শিশু আদালতেরও সাজসজ্জা ও ধরন ভিন্ন হতে হবে। অপরাধ অজামিনযোগ্য হোক বা না হোক, আদালত শিশুকে জামিনে মুক্তি দিতে পারবে। এমনকি আদালতে শিশুর প্রথম হাজির করবার ২১ দিনের মধ্যে প্রবেশন কর্মকর্তা একটি সামাজিক অনুসন্ধান দাখিল করবেন। প্রবেশন কর্মকর্তা বা বৈধ অভিভাবকসহ আইনজীবীর উপস্থিতি আদালতে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন : জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে হাইকোর্ট মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে শিশুদের শাস্তি দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন বিচারাধীন। এ অবস্থায় ভৈরবে শিশুদের শাস্তি দেওয়ার বৈধতা-অবৈধতার ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আবেদন নিষ্পত্তির ব্যাপারে তিনি বলেছেন, নিয়মিত আদালত চালু হলেই আমরা এ ব্যাপারে আপিল বিভাগে শুনানির উদ্যোগ নেব।
জানতে চাইলে চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (সিসিবি ফাউন্ডেশন) চেয়ারম্যান ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল হালিম এ ব্যাপারে বলেন, আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ আইনে ক্ষমতা থাকুক আর নাই থাকুক মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করছেন। এর ফলে শিশুসহ যত ধরনের বিচারকার্য পরিচালনা করছে তাতে সবার মৌলিক অধিকার প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিঘত হচ্ছে। কারণ মোবাইলকোর্ট নিজেই সাক্ষ্য নেন, নিজেই তদন্ত করেন, নিজেই বিচার করেন, নিজেই শাস্তি দেন। পৃথিবীর কোন দেশে এটা হয় না। এটা ন্যায়বিচারের পরিপস্থী। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মোবাইলকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে এবং মোবাইলকোর্টে শিশুকে শাস্তি দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। আইনের শাসন, মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখতে অতিসত্বর এই ব্যাপারে আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ জাহিরীন আমাদের সময়কে বলেন, ‘শিশু আইন অনুযায়ী কোন শিশুর বিচার মোবাইলকোর্টে কোনভাবেই করা সম্ভব নয়। অপরাধ করলে শিশুকে শিশু আদালতে নিয়ে যাওয়া সমীচীন। কারণ, শিশু আইনে শিশুর বিচারেরর সব প্রক্রিয়াগুলো উল্লেখ রয়েছে যা অন্য আইনে নেই।’
Leave a Reply