1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন

নিরপরাধ ব্যক্তির জেল খাটা দুর্ভাগ্যজনক: হাইকোর্ট

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

নিরপরাধ ব্যক্তির জেল খাটাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বদলে মিনু নামের নিরপরাধ একজনের জেল খাটার বিষয়ে শুনানির সময় আদালত এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, অর্থের বিনিময়ে বা যেকোনো কৌশলে মূল আসামি নিজেকে বাঁচিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে রাখছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার এ মামলার শুনানি হয়। আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

এর আগে ৩১ মার্চ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে মিনুর জেল খাটার বিষয়টি হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির। পরে সেটি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।

শুনানিতে শিশির মনির বলেন, বিগত দুই বছরে আমাদের দেশে এমন ২৬টি ঘটনা ঘটেছে। একজনের নামে আরেকজন জেলে থাকে। আইনজীবী বলেন, আসল আসামি শনাক্তের অনেক পদ্ধতি আছে। আইবলিং পদ্ধতি আছে। এই পদ্ধতিতে শনাক্ত করলে কোনো ভুল হবে না। এ বিষয়ে আমি লিখিতভাবে আদালতকে জানাব। তবে মিনুর ঘটনার পেছনে একটি চক্র কাজ করছে। বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা দাবি করছি আদালতের কাছে। শিশির মনিরের সঙ্গে একমত পোষণ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ বলেন, আমরাও এটা চাই দোষীদের শাস্তি হোক, নিরাপদ কেউ যাতে জেলে না থাকে। জানা যায়, চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জে একটি বাসায় ২০০৬ সালের জুলাই মাসে মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টকর্মী কোহিনূর আক্তারকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। এরপর রহমতগঞ্জে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ। কোহিনূর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন গার্মেন্টকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। এরপর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়।

পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিলে অপমৃত্যুর মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। এর মধ্যে এক বছর তিন মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান কুলসুম। মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান আদালতের নজরে আনেন।

২২ মার্চ সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পিডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়।

জবানবন্দি শুনে এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মিনুর উপ-নথি ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

পরদিন মিনুর বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর আদালত উপ-নথি পাঠান।ওইদিন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নোমান চৌধুরী বলেন, আদালতে সংরক্ষিত ছবি সম্বলিত নথিপত্র দেখে কুলসুম আক্তার কুলসুমী আর মিনু এক নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com