কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মুজিববর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়েছে চারটি ঘর। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা (বগারচর) নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।
রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্প’ (আশ্রয়ণ প্রকল্প-২) এর আওতায় দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ৩৫টি পরিবারকে এ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৯টি ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে ২৬টি ঘর দেওয়া হয়েছে। যার প্রতিটি গৃহ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
ইতোমধ্যে ৯টি গৃহ নির্মাণ শেষে সুবিধাভোগীদের মাঝে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সরাসরি এ নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেন।
হরিণধরা এলাকার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘নিচু জায়গায় এবং বালু মাটিতে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ফাউন্ডেশন না থাকায় নিচের মাটি ধসে ৪টি ঘর ভেঙে পড়েছে। নামমাত্র বালু ভরাট করে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করায় এমনটি হয়েছে।’
ঘর পাওয়া শাহাজামাল ও ফুলো রানী জানান, জমি নিচু এবং বালু মাটি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের নিচের মাটি ধসে যায় এবং চারটি ঘর ভেঙে গেছে। এভাবে ঘর ভেঙে পড়লে আমরা যাব কই?
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ‘যে ঘরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু করা হয়েছে। মুলত মাটির কারণে এসব হয়েছে।’
Leave a Reply