রোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হলো শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ চলাচল। আজ সোমবার ভোর থেকে এ রুটে শুরু হয় নদী পথের বাহনগুলো। ভোর ৬টা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা লঞ্চে পার হতে শুরু করেছেন। এ সময় যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল শুরু করায় যাত্রীরা ফেরির পাশাপাশি লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছেন। ফলে ফেরিতে কমে এসেছে যাত্রীচাপ আর গাদাগাদি। তবে লঞ্চে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী পারাপারের নির্দেশনা থাকলেও তার সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। তবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দাবি- তারা ঘাটে দাঁড়িয়ে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী ওঠানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পরে লঞ্চ চালু হওয়ায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের মাঝেও। বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৮৬টি লঞ্চ রয়েছে। ৫ এপ্রিল থেকে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল নৌরুটে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও নিয়ম ভেঙে কিছু স্পিডবোট যাত্রী পারাপার করেছিল। এরমধ্যে ৪ মে এ নৌরুটে একটি স্পিডবোট দুর্ঘটনার পর, স্পিডবোট, ট্রলার চলাচল বন্ধ করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে যায়। এরপর থেকে বন্ধ থাকে এসব নৌযানও।
এদিকে লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানিয়েছেন, লঞ্চ চলাচল শুরু করায় ফেরিতে যাত্রীদের চাপ কমেছে। ফলে সহজ হয়েছে যানবাহন পারাপার।
উল্লেখ্য, দেশে দ্বিতীয় ধাপে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে গত ৫ এপ্রিল থেকে এ নৌ পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিএ। এই সময়ে এই রুটে জরুরি ভিত্তিতে শুধু ফেরি চলাচল করে। বিকল্প নৌযান না থাকায় চরম ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে হয়েছে যাত্রীদের। ঢাকায় ফিরতেও একই রকম বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। তবে আজ লঞ্চ চলাচল শুরুর মধ্যে দিয়ে কমলো তাদের সেই বিড়ম্বনা।
Leave a Reply