বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন । বৃহস্পতিবার রাতে তার লাশ সোনারগাঁও নিয়ে আসলে রাত সাড়ে ১০ টায় পুলিশ পাহারায় দাফন করা হয়। উপজেলার নোয়াগাও ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে মাওলানা ইকবাল হোসেনে পৈত্রিক বাড়ির পাশে মুন্সিপুর ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে মুন্সিপুর সামাজিক কবরস্থানের তার বাবার কবরের পাশে তার লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
এসময় ওই এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের রিসোর্ট কান্ডের ঘটনায় সহিংসতার মামলায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন কারাবন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় তিনি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষন কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
কেরানীগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার সুভাষ উমার ঘোষ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলার আসামী মাওলানা ইকবাল হোসেন বেশ কিছু দিন ধরে কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ১৫ মে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার
বিকেল ৩ টার দিকে তিনি মারা যান।
মাওলানা ইকবাল হোসেন সোনারগাঁও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি ও সোনারগাঁও
উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার বাবার নাম মৃত আবু সাঈদ। তার স্ত্রী ও ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রয়েছে।
বড় মেয়ে মেয়ে মাহবুবা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় বাবা মারা গেছেন। তাকে বিনা অপরাধে ধরে এনে এভাবে মেরে ফেলা হলো। আমাদেরকে সকালে জানানো হয়েছে তিনি খুব অসুস্থ। এখানে এসে আমরা দেখি তিনি ইতোমধ্যে আইসিইউ সাপোর্টে রয়েছেন। তাকে ৩ টায় মৃত ঘোষণা করা হয়।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, রাতে লাশ সোনারগাঁও নিয়ে আসলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে পুলিশের উপস্থিতিতে তার গ্রামে লাশ দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ, ৩ এপ্রিল সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোটে মাওলানা মামুনুল হকের নারী নিয়ে অবস্থান এবং রির্সোটে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুল হকে ছাড়িয়ে নেয়া এবং পরিবতিতে সংহিসতার ঘটনায় সন্ত্রস দমন আইনের মামলায় ১১ এপ্রিল রাজধানীর জুরাইন এলাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন মাওলানা ইকবাল হোসেন।
সোনারগাঁওয়ে রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুর ও মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির মামলার প্রধান আসামি মাওলানা ইকবাল হোসেন। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে র্যাব। ১২ এপ্রিল পুলিশ দুই মামলায় তাদের সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবিরের আদালতে পাঠালে আদালত তার এক মামলায় দু’দিন ও আরেক মামলায় একদিনসহ মোট তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply