করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো অপ্রস্তুত অবস্থা এড়াতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সব অংশীজনের সুসমন্বিতভাবে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। এ জন্য আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্যের জন্য মোট প্রস্তাবিত ব্যয়ের ৭ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া উচিত এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদকালে এ অনুপাত ১০ থেকে ১২ শতাংশে উন্নীত করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল শনিবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় এবং বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের যৌথ আয়োজনে ‘স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় : ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবনা’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট আলোচনায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের কনভেনার ড. মুশতাক রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। আলোচনায় অংশ নেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. আতিউর বলেন, কেবল স্বাস্থ্য বাজেট বাড়ালেই চলবে না, বাড়তি বরাদ্দ ব্যয়ের যথাযথ অগ্রাধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। সেবাপ্রার্থীদের বড় অংশ প্রাথমিক সেবাপ্রত্যাশী হলেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে মোট ব্যয়ের এক-চতুর্থাংশের মতো বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই অনুপাতকে মধ্যম মেয়াদে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ উনীœত করার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যে দেশের নাগরিকদের অন্তত ৬০ শতাংশের জন্য করোনা টিকা নিশ্চিত করতে দরকারবোধে অন্য খাতের বাজেট কাটছাঁট করে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়ার পক্ষে তিনি মত দেন। ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাস্থ্যসেবা তৃণমূল পর্যায়ে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি চিকিৎসকের অবসরের বয়স সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানান। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক স্বাস্থ্য প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস করার ওপর জোর দেন। বরাদ্দকৃত বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে আলোচনা করেন সংসদ সদস্য শিরিন আখতার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের অগ্রাধিকারগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নাগরিক সমাজকে জনস্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও কাজ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। #নিজস্ব প্রতিবেদক
Leave a Reply