1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন

বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিমের আত্মীয় মামুনুল

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি শরিফুল হক ডালিমের সঙ্গে মামুনুল হকের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তার শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই হচ্ছেন মেজর ডালিম। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশীদ।

রিমান্ডে থাকা মামুনুল হকের বিষয়ে তথ্য তুলে ধরতে গতকাল রোববার বিকেলে নিজের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য দেন। এ সময় ডালিম-মামুনুল সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ডিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম হচ্ছেন মামুনুল হকের শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই।’

ডিসি জানান, পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী, গ্রেনেড হামলার আসামি এবং জামায়াতের শীর্ষ দুই নেতার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে সরকার উৎখাতের ছক এঁকেছিলেন মামুনুল হক। ভগ্নিপতি নেয়ামত উল্লাহর মাধ্যমে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয় তার। এই নেয়ামতের সঙ্গে ২০০৫ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ৪৫ দিন ছিলেন মামুনুল। সেখানে বিভিন্ন জঙ্গি ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তখন যোগাযোগ করেন। পরে জঙ্গি ও উগ্রবাদী মতাদর্শ নিয়ে দেশে ফেরেন। দেশে এসে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটান। মামুনুলের ভগ্নিপতি মাওলানা মুফতি নেয়ামত উদ্দিন, মাওলানা তাজউদ্দীন ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একবার নেয়ামত উদ্দিন গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। তাকে পরে ছাড়িয়ে আনে। এছাড়া সরকার উৎখাতে মামুনুল হক সব ধরনের পরিকল্পনাও করেন। তার ভাই মাহফুজুল হক কোনো মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তেজগাঁও বিভাগের এই উপ-কমিশনার আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফয়দা নেয়ার পাঁয়তারা করছিলেন মামুনুল। রিমান্ডে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরে অবস্থানে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কথার বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এ ছাড়া বিভিন্ন বক্তব্যের বিষয়েও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি।

ভারতের অযোধ্যার বাবরি মসজিদের নামে বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হেফাজত নেতা মামুনুল হক টাকা আনতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাত দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপ করেন তেজগাঁও ডিসি। বলেন, মামুনুল হকের জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বাবরি মসজিদের নামে কাতার, দুবাই ও পাকিস্তান থেকে টাকা আনার তথ্য-প্রমাণও মিলেছে। দেশের বাইরে থেকে মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে লাখ কোটি টাকা এনে তিনি বিভিন্ন মসজিদে-মাদ্রাসায় জঙ্গি, উগ্রবাদী কাজে ব্যবহার করতেন।

ডিসি আরও বলেন, মামুনুল হেফাজতে ইসলামকে ‘পাকিস্তানের একটি সংগঠনের আদলে’ পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন তিনি রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী ছিলেন। জামায়াতের সহায়তায় ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ভাবনা ছিল তার।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতালকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চলে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণহানিও হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীসহ আটক হন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। পরে একাধিক বিয়ের কথা জানান মামুনুল হক। গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর মোহাম্মদপুর থানার নাশকতার এক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামুনুলকে সাত দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com