ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য দিল্লিতে করোনায় মৃতের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই শুক্রবার দেশটির রাজধানীর বিভিন্ন গোরস্থানে গণকবর খুঁড়তে দেখা গেছে। একইসাথে গণহারে সৎকার চলে শহরের প্রধান শ্মশানগুলোতেও। এমনকি লাশ সমাহিত করার জায়গা পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে করোনায় মৃতদের পরিবারকে।
অপর দিকে ভারতজুড়ে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট ও চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন দেশটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন মোদি।
তবে ওই বৈঠকে দেশজুড়ে অক্সিজেন সঙ্কটের জন্য প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জবাবে জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদির জানান, তার আহ্বানে অক্সিজেনের সঙ্কট দূর করতে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বৈঠকে মোদি আরো বলেন, দেশজুড়ে অক্সিজেনের তীব্র সঙ্কট। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত লিকুইড নেই। আর এ কারণেই আমরা হাসপাতাল ছাড়া আপাতত কারো কাছে সিলিন্ডার বিক্রি করছি না। কেননা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সিলিন্ডার সরবরাহ না করতেও কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এ দিকে পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে শয্যার ও টিকার সঙ্কট দূর করতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে শুক্রবার জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
Leave a Reply