করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউনে’ গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শিল্পকারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। শ্রমিকদের স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগেও প্রথম দফার ‘লকডাউনে’ শিল্পকারখানা খোলা ছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়, ১৪-২০ এপ্রিল সময়ে জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
এছাড়া নৌ, রেল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এ আদেশ প্রযোজ্য নয়।
কঠোর লকডাউনের সময়ে শপিংমল ও সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচামালের বাজার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এসব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালনের জন্য সংশিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দেশে করোনার বেড়ে যাওয়ায় সরকার সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে গত ৪ এপ্রিল। গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া সাত দিনের লকডাউন বা বিধি-নিষেধের মেয়াদ ১১ এপ্রিল রাত ১২টায় শেষ হয়।
এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর তা ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত বর্ধিতত করা হয়।
তবে শুরু থেকেই লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ করেন ব্যবসায়ীরা।
প্রথম দফার ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন ও শপিংমল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হলেও গত বুধবার শর্তসাপেক্ষে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের অনুমোদন দেয় সরকার। আর শুক্রবার থেকে শপিংমল ও দোকানপাটও খোলা হয়।
Leave a Reply