করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদের মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। আজ শনিবার ভোর সাড়ে ৪টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ গত ২৩ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গতকাল থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি এবং সকল স্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ গভীরভাবে মর্মাহত এবং শোকাভিভূত।
এক শোকবার্তায় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, তার মতো একজন সদালাপী, ধার্মিক, সৎ, দক্ষ এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কর্মকর্তা বিরল। কর্মজীবনে তিনি দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দেশি এবং বিদেশি অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কারণে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পৃথক এক শোকবার্তায় জানান, তার মতো অমায়িক ও কর্মনিষ্ঠ কর্মকর্তার মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছে এবং পরম করুনাময়ের কাছে তার মাগফিরাত ও বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করছে। পরম করুনাময় মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদানকারী (বর্তমানে অতিরিক্ত সচিব) ড. এ কে এম রফিক আহাম্মদ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসাবে ২০১৯ সালের ২২ মে যোগদানের পূর্বে তিনি দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ইতঃপূর্বে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র রেখে গেছেন।
Leave a Reply