হঠাৎ করেই করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে। হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আইসিইউ শয্যার সংকট দেখা দিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরাও। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশে গণটিকা কার্যক্রম চালু হয়েছে। শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১২ জন। দুই মাসের ব্যবধানে বুধবার (১০ মার্চ) প্রথমবারের মতো শনাক্তের সংখ্যা হাজারের ঘরে পৌঁছায়। এদিন এক হাজার ১৮ জন শনাক্ত হয়েছেন।
তিনি মনে করছেন, করোনার নতুন কোন স্ট্রেইনের কারণে এর বিস্তার ঘটতে পারে। সেটি হতে পারে বাইরে থেকে এসেছে অথবা বিদ্যমান ভাইরাসই নিজেকে বদলে আরো শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের সামাজিব দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। টিকার কারণে গাছাড়া দিলে হবে না। আর মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। তিনি জানান, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর তা কার্যকর হয়। প্রথম ডোজ নিয়েই শরীরে কোভিড প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। কাজেই টিকা নিয়েই নিশ্চিত হওয়া বা স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করা ভয়ংকর বলে উল্লেখ করেন এই চিকিৎসক। এদিকে ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও এই পরিস্থিতিতে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ ব্যাপারে আবারো জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামত নেয়া হবে।
সূত্রঃ ডয়চে ভেলে
Leave a Reply