1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বান্দরবানে কেএনএফ আস্তানায় সেনা অভিযান, একে৪৭-সহ বিপুল অস্ত্র উদ্ধার শ্রম খাত সংস্কারের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার হাসিনাকে বিবৃতি থেকে বিরত রাখতে ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাইডেন-ট্রাম্প বৈঠক, যেসব বিষয়ে আলোচনা হলো উপদেষ্টা নিয়োগ প্রসঙ্গে কী বললেন নুর বিদেশে আসিফ নজরুলকে হয়রানি : জেনেভার কাউন্সেলরকে প্রত্যাহার হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম গ্রেফতার চায়ের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের বাসায় বিএনপি নেতারা জাতীয় নির্বাচন কবে, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা আন্দোলনে আহতদের দেখতে হাসপাতালে বিএনপি নেতারা, ৫ লাখ টাকা অনুদান

করোনাকালে আত্মহত্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মহামারীতেও দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রতিবছর যে হারে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে, করোনাকালীন সময়ে তা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল আঁচল ফাউন্ডেশনের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আত্মহত্যার ওপর প্রকাশিত একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা গেছে, গতবছর করোনাকালীন সময় দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জনের। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কিছুটা বেশি। সেই তুলনায় এক বছরে আত্মহত্যা বেড়েছে ৪ হাজার ৪৩৬টি, যা ৪০ শতাংশ বেশি।

সংগঠনটি বলছে, দেশের দৈনিক গণমাধ্যম ও হাসপাতাল ও পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পর্যবেক্ষণ করে জরিপটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনটি ৩২২টি আত্মহত্যার বিষয়ে বিশ্লেষণ করে আত্মহত্যাকারীদের বয়স, লিঙ্গ ও আত্মহত্যার কারণ ফুটিয়ে তুলেছে। জরিপটি গত বছরের ৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে আরও জানানো হয়, দেশে মোট আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ পুরুষ, বাকি ৪৩ শতাংশ নারী। ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন। যেসব কারণে আত্মহত্যা করেছে, সেগুলোর মধ্যে আর্থিক, পড়াশোনা, পারিবারিক সম্পর্কজনিত জটিলতা, হতাশা ও বিষণ্ণতা অন্যতম।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই করোনাকালে লিঙ্গ, শ্রেণির ভিন্নতায় আলাদা আলাদা রকমের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। কারও চাকরি নেই, কেউ স্বামী-সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত, কেউ ব্যবসায়িক কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, কেউ আবার নিজের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যে তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ দেখা দিচ্ছে। আর সে অবসাদই ঠেলে দিচ্ছে আত্মহত্যার দিকে।

অনুষ্ঠানে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তানসেন রোজ প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের জোর দাবি, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি পরিবার কীভাবে আত্মহত্যা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে রূপরেখা দাঁড় করানো দরকার। সবাইকে সচেতন না করতে পারলে ফলাফল অধরাই থেকে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com