রাজধানীর কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগের মামলার আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের (১৮) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সময় চেয়ে আবেদন করলে আগামী ২১ মার্চ দিন ধার্য করা হয়।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন না দিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন দিহান।
এদিকে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ফরেন বডি থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ‘ও’ লেভেলের ছাত্রীর। সিআইডির সাইবার ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ কামরুল আহসান ময়নাতদন্তের বরাত দিয়ে বলেন, শারীরিক সম্পর্কের সময় এক ধরনের ফরেন বডি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিকৃত যৌনাচার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় সে।
ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি রাতে ফারদিন ইফতেফার দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে বন্ধু দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন রাজধানীর ধানমন্ডির মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের ওই শিক্ষার্থী। এরপর তাকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান।
শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহানসহ চার বন্ধু তাকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান চিকিৎসকরা। এ ঘটনার মামলায় দিহান গ্রেফতার রয়েছেন। তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
Leave a Reply