সৌদির ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে দেশটির ভিন্নমতাদর্শী লেখক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। খাশোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিস যুবরাজের শাস্তি দাবি করেছেন। সম্প্রতি ওই হত্যাকাণ্ডের একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর গত শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
ওই প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ওই প্রতিবেদনের বদলে নতুন আরও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আগের প্রতিবেদনে থাকা লোকজনের মধ্যে তিনজনের নাম নতুন প্রতিবেদন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কন্স্যুলেটে জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড যুবরাজ সালমানের নির্দেশে ওই হত্যাকা- ঘটায় বলে অভিযোগ রয়েছে। বিবিসি।
সম্প্রতি খাশোগি হত্যাকা-ে জড়িত ৭৬ সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে সেই তালিকায় নেই হত্যার ‘নির্দেশদাতা’ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, সৌদি আরবের ‘শীর্ষনেতা’ হওয়ার কারণেই তার ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। কিন্তু এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন ক্রাউন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের (ওডিএনআই) প্রথম প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর দ্বিতীয় সংস্করণে তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর আগের প্রতিবেদনে খাশোগি হত্যায় অংশ নেওয়া, হত্যার নির্দেশ বা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ওই তিনজনের নাম প্রতিবেদনে এসেছিল।
প্রথম প্রতিবেদনে তাদের নাম কেন এসেছিল, খাশোগি হত্যায় তাদের ভূমিকা কি ছিল অথবা পরবর্তী প্রতিবেদনেই বা তাদের নাম সরিয়ে দেওয়া হলো কেন- সে বিষয়ে ওডিএনআইর পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে ওডিএনআইর মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, ‘আমরা খাশোগি হত্যাকা-ের বিষয়ে সংশোধিত প্রতিবেদনটি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি। কারণ প্রথম প্রতিবেদনে ভুলক্রমে তিনজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা উচিত হয়নি।’
Leave a Reply