মিরপুর উপজেলায় সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করে বস্তাবন্দি লাশ পুকুরে ফেলে মা অপহৃত হয়েছেন বলে থানায় জিডি করেন ছেলে। ঘটনার ৩৪ দিন পর সেই মায়ের লাশ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এ অপহরণ নাটকের জট খুলেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মুন্না বাবু, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আবদুল কাদের গ্রেপ্তার হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত।
বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও ৩ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্নার সঙ্গে বাস করতেন। মা যাতে মেয়েদের সম্পতির ভাগ দিতে না পারেন, সে জন্য বন্ধু রাব্বি ও চাচা আবদুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মুন্না। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি মমতাজকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে দেন। ২১ জানুয়ারি থানায় তার মাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে এ মর্মে জিডি করেন মুন্না। শুধু তাই নয়, এর পর মুন্না বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। ঘটনার ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার লাশ উদ্ধার ও মুন্নাসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
Leave a Reply