ভ্রমণকারীরা বৃটেনে পৌঁছার কয়েক দিনের মধ্যে তাদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। এ বিষয়ে নতুন বিস্তৃত পরীক্ষা পদ্ধতি শিগগিরই ঘোষণা করবে সরকার। তবে শোনা যাচ্ছে, নতুন এই নীতির অধীনে বৃটেনে পৌঁছার পর কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় দিনে প্রথম পরীক্ষা এবং অষ্টম দিনে দ্বিতীয় পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৃটেনে পৌঁছার পর আইসোলেশনে থাকা সবাইকে পরীক্ষা করার সঙ্গে এই উদ্যোগ সুরক্ষায় আরেকটি মাত্রা যোগ করবে। এর উদ্দেশ্য, অন্য দেশ থেকে কেউ নতুন কোনো ভাইরাস বহন করে আনছেন কিনা তা শনাক্ত করা এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ সহজ করা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে আরো বলা হয়েছে, বর্তমান নিয়মে বৃটেনে বোট, ট্রেন বা বিমান যেভাবেই ভ্রমণকারীরা পৌঁছান না কেন, তাদেরকে প্রবেশের আগে করোনা ভাইরাসের নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে। এই পরীক্ষা করানো হতে হবে ভ্রমণ শুরুর ৭২ ঘন্টার মধ্যের।
যদি কেউ করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া প্রবেশ করেন তাহলে তাকে ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। চেকপয়েন্টগুলোতে বর্ডার ফোর্সের কর্মকর্তারা এ দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া সব যাত্রীকে পৌঁছার পর ১০ দিন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। বৃটেনে তারা কোথায় থাকবেন এবং তার ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিস্তারিত জানাতে হয়। এরপরই তারা ভ্রমণ করতে পারবেন প্রয়োজন হলে গণপরিবহনে। এভাবে তিনি যেখানে আইসোলেশনে থাকতে চান সেখানে যেতে পারবেন। ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে বৃটিশ এবং আইরিশ নাগরিকরা সুনির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে বৃটেনে গেলে তাদেরকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাদেরকে ১০ রাত রুমে অবস্থান করতে হবে। এ সময়ে বাইরে তাদেরকে পাহারা দেবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এই নিয়ম প্রয়োগ করা হবে বৃটিশ নাগরিক ও বসবাসকারীরা কোভিড-১৯ হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত ৩৩ টি ‘রেড লিস্ট’ থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের ওপর। বিশেষ করে এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা। এসব স্থান থেকে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট এরই মধ্যে বিস্তার লাভ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা আছে। এসব যাত্রীকে তাদের থাকা খাওয়ার খরচ নিজেদের বহন করতে হবে। সফর শুরুর ১০ দিন আগে ওইসব দেশে অবস্থান করেছিলেন বৃটিশ নন এমন ভ্রমণকারীদের জন্য বৃটেনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
এর ওপর যুক্ত হয়েছে আরেকটি নিয়ম। তাতে বলা হয়েছে, বৃটেন বা আয়ারল্যান্ডের বাইরে থেকে যেখান থেকেই ভ্রমণকারীরা বৃটেনে যান না কেন, তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়ে কমপক্ষে একবার পরীক্ষা করাতে হবে। বৃটেন সফরের ৭২ ঘন্টা আগেও তাদের পরীক্ষা করানো থাকলেও এটা করাতে হবে। কি ধরনের এবং কত সংখ্যক পরীক্ষা এভাবে করা যাবে বা প্রয়োজন হবে সরকার থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বলাবলি আছে, বৃটেনে পৌঁছার পর ভ্রমণকারীকে কোয়ারেন্টিনে থাকার দ্বিতীয় দিনে একটি পরীক্ষা করাতে হবে এবং দ্বিতীয় পরীক্ষা করাতে হবে ৮ম দিনে। তবে এই নীতি কবে, কিভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিশ্চিত নয়। তাছাড়া এর জন্য মূল্য কে পরিশোধ করবে তাও পরিষ্কার নয়। তবে বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক শিল্প এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এতে ব্যবসায় ফেরা অনেক সময় লেগে যাবে।
Leave a Reply