দেশে পৌঁছে গেছে ভারতের উপহার দেওয়া করোনাভাইরাসের টিকা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ভ্যাকসিন বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইট। ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসার কথা থাকলেও ১৭ লাখ ৯৯ হাজার ২৬২ ডোজ এসেছে বলে জানিয়ছেন বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা। এদিকে টিকা আসার পর এর প্রথম ডোজ জনসমক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া উচিত বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল বুধবার এ কথা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি। টিকাদানের ক্ষেত্রে সরকারের ভুল হচ্ছে বলে মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পয়লা টিকাটা নেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর।’
প্রধানমন্ত্রী জনসম্মুখে টেলিভিশনের সামনে টিকা নিলে জনগণের মনে আস্থা জন্মাবে বলে বিশ্বাস জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ ছাড়া প্রত্যেক মন্ত্রীর জেলা শহরে গিয়ে সবার আগে টিকা নেওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি বলেন, এতে লোকের আস্থা জন্মাবে এবং তাদের বুঝিয়ে বলা যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী করোনার টিকা দেশে পৌঁছার পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্য থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন জাফরুল্লাহ। তিনি মনে করেন, টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার জনগোষ্ঠী ঠিক করা হয়েছে, তা ঠিকই আছে।
আজ মোট ১৬৭টি বক্সে ভারত সরকারের উপহারের এসব টিকা দেশে পৌঁছায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভ্যাকসিন হস্তান্তর করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামীর এসব টিকা তুলে দেওয়ার কথা।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, টিকাগুলো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তেজগাঁওয়ে ইপিআইয়ের স্টোরেজে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে সংরক্ষণ করা হবে।
এছাড়া ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশের কিনে নেওয়া ৫০ লাখ টিকা আগামী ২৫ থেকে ২৬ জানুয়ারির ভেতরে আসবে।
Leave a Reply