নির্বাচনের চিত্র পাল্টায়নি। গত জাতীয়, স্থানীয় নির্বাচনগুলোর ধারাবাহিক দৃশ্যপট বজায় ছিল এই নির্বাচনেও। দিনভর ছিল সহিংসতা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট, কেন্দ্র দখলসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের ২৪টি পৌরসভার নির্বাচন। এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি প্রার্থীরা। ভোট গ্রহণের আগেই আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয় অনেক পৌর এলাকায়। হুমকি-ধমকি ও আতঙ্কে ভোট দিতে যাননি অনেকে। এমনকি মেয়র প্রার্থীও আতঙ্কে মাঠ ছেড়েছেন।
অনেক স্থানে ইভিএম মেশিন বিকল, আঙ্গুলের ছাপ না মেলার কারণে বিড়ম্বনার শিকার হন ভোটাররা। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টে।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে গতকাল পঞ্চগড় পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হন। দুপুরের দিকে তুলারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্র্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন আহত হয়। এদের মধ্যে ১১ জনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিশির (২৭) ও আবির (১৫) নামের দুই যুবককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নূরুন আলা নূর কামিল মাদ্রাসা, পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয়, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজ, পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও নতুনবস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রার্থী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বিএনপি প্রার্থী মো. আবুল খয়ের খান নির্বাচন বর্জন করেছেন। চলনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে দলের নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান গতকাল দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে ত্রাস সৃষ্টি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। ভোটারদের প্রথম ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার পরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। বাকি কাজ আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন সেরে নিচ্ছে।
একই অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায়। গতকাল দুপুরে তিনি বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিচ্ছে। ভোটারদের সঠিকভাবে ভোট দিতে দিচ্ছে না। ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ মেশিনে দেয়ার পরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা গোপন কক্ষে ঢুকে জোর করে মেশিনের বাটন চেপে ভোট প্রদান করছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের সনৎ কুমার বিশ্বাস, বিএনপি’র মো. আবুল খয়ের খান এবং স্বতন্ত্র অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও গৌতম কুমার রায়।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে চালনা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের শিশু কানন প্রি-ক্যাডেট স্কুলকেন্দ্রে ভোট চলাকালে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সনৎ কুমার বিশ্বাস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্রে উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহীর কাটাখালী ও পুঠিয়া পৌরসভার সবক’টি কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ভোট গ্রহণে বিলম্ব হওয়াসহ নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন ভোটাররা। পুঠিয়ায় কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থীসহ অনেক ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) না মেলায় তারা প্রথমদিকে ভোট দিতে পারেননি। বিকালে তাদের ভোট গ্রহণ করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার। এছাড়া কাটাখালী পৌরসভায় নৌকা প্রতীকের বাইরের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ইভিএম-এ ভোটগ্রহণে বেশি সময় লেগেছে এই কারণ দেখিয়ে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী পাটকল উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটাররা জানান, ভেতরে খুব অল্প সময়ে ভোট হয়, কিন্তু লাইন এগোয় না। পুঠিয়ায় শিশু একাডেমি ভোটকেন্দ্রে দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন সালমা আক্তার।
এ সময় প্রিসাইডিং অফিসার মো. আতিকুজ্জামান বলেন, অনেক নারী ভোটার রয়েছেন, তারা ভেতরে ঢুকে ভোট দেয়ার ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না। আর ইভিএম-এ এখানে ভোট হয়েছে প্রথম। তাই একটু দেরি হয়েছে। পুঠিয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে ধানের শীষের প্রার্থী আল মামুন খান অভিযোগ করেছেন তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। কাটাখালী পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে থেকে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এই এলাকায় আতঙ্কে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম মাঠে নামতে পারেননি। তিনি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতেও যাননি। কোনো কেন্দ্রে বিএনপি’র পোলিং এজেন্ট ছিল না। জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজেদুর রহমান (জগ) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খোকনুজ্জামান মাসুদের (মোবাইল ফোন) পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ভোটের আগের রাতে আওয়ামী লীগ নেতা খোকনুজ্জামান মাসুদের চার জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রেই বিএনপি’র প্রার্থীর এজেন্টদের দেখা মেলেনি। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররা জানিয়েছেন, অনেক কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টের কাগজ-কলমে নাম থাকলেও কেন্দ্রে তাদের দেখতে পাইনি। বিএনপি’র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ এনে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হলে অনেক ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনায় পড়েন। আবার এ পদ্ধতিতে একজনের ভোট গ্রহণে অনেক সময় লেগে যাওয়ার কারণে ভোট দিতে আসা ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যুথীবিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে ভোটিং মেশিন ১৮টি ভোট গ্রহণের পর নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ভোটাররা। প্রায় এক ঘণ্টা পর মেশিনটি চালু হলে ফের কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ধামরাই কলেজিয়েট পাঁচ নম্বর ভোট কেন্দ্রের ছবি তুলতে গেলে প্রথম আলো’র সাংবাদিক জহির রায়হানকে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান লাঞ্ছিত করেছেন।
প্রিজাইডিং অফিসার আজিজুল হক জানান, বিনা অনুমতিতে ভোটের গোপন কক্ষের ছবি তোলায় তার ক্যামেরা থেকে ছবি ডিলিট করা হয়েছে।
ভোট বর্জন করে দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু জানান, প্রহসনের নির্বাচন আমি মানি না। তিনি এ সময় পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান। তবে বিএনপি’র প্রার্থীর ভোট বর্জনের বিষয়টি জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার মুনীর হোসাইন লিখিতভাবে পাননি বলে জানান।
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনার চাটমোহর পৌরসভার নির্বাচনে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। সকাল নয় টার দিকে চাটমোহর পৌর সদরের সবুজ সংঘ ক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি’র বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান। অপরদিকে সকাল ১০টায় ছোট শালিখা মহল্লার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে ভোটবর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা রেজাউল করিম দুলাল (প্রতীক জগ)। তারা অভিযোগ করেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর নৌকার এজেন্ট ও কর্মীরা অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। এছাড়া সকল ভোটকেন্দ্র দখলে নেয় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন। বুথে ইভিএম’র গোপন কক্ষে নৌকার এজেন্টরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার পর ভোটারদের জোর করে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানিয়েও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তারা ভোট বর্জন করেছেন। অপরদিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো বলেন, কোনো ভোটকেন্দ্র দখল, মারধর বা জোর করে ভোট নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। জগ ও মোবাইল প্রতীকের কোনো ভোট না থাকায় তারা ভোট বর্জন করেছে।
এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। ভোটকেন্দ্র দখলের অভিযোগ সঠিক নয়।
স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ থেকে জানান, ইভিএম-এ ধীর গতিসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী নির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে দুপুরে জেলা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন। ধানের শীষের প্রার্থী আতাউর রহমান আতা লিখিত অভিযোগে জানান, নির্বাচনে ২৫টি ভোটকেন্দ্র্রে সকাল ৯টার পর থেকে তার এজেন্টদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এরপর নৌকা মার্কায় বটমে চাপ দিয়ে নৌকা প্রতীকে জোরপুর্বক ভোটগ্রহণ করে। তিনি জানান, মডেল হাইস্কুল ভোটকেন্দ্র ও নওখণ্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি কেন্দ্রে কিছু সংখ্যক ইভিএম-এ বাটন চেপে ধানের শীষের প্রতীক পাওয়া যায়নি। এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয় বলে আতাউর রহমান আতার দাবি। তিনি এই নির্বাচন স্থগিত করে পুনরায় ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এদিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকালে শহরের খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক রাজা ও হযরত আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের পিটিআই ভোটকেন্দ্রে প্রভাবশালী এক কাউন্সিল প্রার্থী নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক প্রার্থীর নারী পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারী উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের হতে গেলে কেন্দ্র পরিদর্শনে থাকা জেলা নির্বাচন কমিশনার শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে ভোটারদের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, সকাল থেকে পৌর এলাকার ২৫টি ভোটকেন্দ্রেই ভোটাররা ইভিএম’র ধীর গতির কারণে বিড়ম্বনায় পড়েন। ভোট দিতে গিয়ে বিশেষ করে নারী ভোটাররা সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়তে দেখা যায়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতির ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
Leave a Reply