দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের (৬৯) আজ শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গুণী এই অভিনেতার মরদেহে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। অভিনেতার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি ও তার ছেলে শফিউল আজম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, হাসপাতাল থেকে গোসলের জন্য অভিনেতার মরদেহ মোহাম্মদপুর আল মারকাজুলে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আবদুল কাদেরকে মিরপুরের নিজ বাসায় নেওয়া হবে। বাদ জোহর মিরপুর ডিওএইচে সেন্ট্রাল মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে আবদুল কাদেরকে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অনুষ্ঠিত হবে তার দ্বিতীয় জানাজা। এরপর বনানী কবরস্থানে ৩য় জানাজা শেষে জনপ্রিয় এই অভিনেতাকে দাফন করা হবে, যোগ করেন পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি ও তার ছেলে শফিউল আজম।
এদিকে, অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ের ভেলোর শহরের সিএমসি হাসপাতালে নেওয়া হয় আবদুল কাদেরকে। পরে ১৫ ডিসেম্বর প্যানক্রিসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়। দেশে ফেরার পর ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এ অভিনেতাকে। এরপর তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে অভিনেতা আবদুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে করোনা ইউনিট থেকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। ওইদিন চিকিৎসকেরা জানান, কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, নড়াচড়া করছেন না। মাঝে মাঝে হালকা নিশ্বাস নিচ্ছেন।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পান আবদুল কাদের । এ ছাড়াও তিনি হুমায়ূন আহমেদের ‘নক্ষত্রের রাত’ নাটকে দুলাভাই চরিত্রেও দারুণ প্রশংসিত হন।
Leave a Reply