কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ছোটশালঘর গ্রামে এক পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বসতঘরের সামনে টিনের বেড়া দিয়ে ওই পরিবারটিকে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর নির্দেশে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড়শালঘর ইউনিয়নে ছোটশালঘর গ্রামে ছয় শতক জায়গার মালিক দাবি করছেন জাকির হোসেন ও বাচ্চু মিয়া নামে দুই সহোদর। বাচ্চু মিয়া প্রতিবেশী মোসলেম মিয়ার কাছে বাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনাসহ ১২লক্ষ টাকায় বিক্রি করে অন্য জায়গায় চলে যান। কিন্তু অপর ভাই জাকির হোসেনের দাবি, এ জায়গাটি তার পিতৃসম্পত্তি। যার দলিল তার নামে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতে দুটি মামলা করা হয়েছে যা এখনো চালু আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
জমি সংক্রান্ত বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ইউনুছ, মোসলেম, শাহীনসহ আরও কয়েকজন মিলে এক সপ্তাহ ধরে জাকির হোসেনের বসত ঘরের সামনে বাঁশ ও টিন দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, ‘তারা আমার বসতঘরের সামনে জোর করে বেড়া দিয়েছে। আমার পুরো পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি জায়গার মালিক দাবি করে আরও বলেন, তারা যেখানে বেড়া দিয়েছে এ জায়গাটি আমার পিতৃসম্পত্তি। তারা জোর করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে আদালতে দুটি মামলা চলছে। গত সোমবার রাতের আধারে তারা আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে আমার বসতঘরের সামনে বেড়া দিয়েছে। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার স্ত্রী ও আমাকে মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এখন আমি আমার বৃদ্ধা মা ও পরিবারের লোকজন নিয়ে অবরুদ্ধ আছি।’
অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া ও মোসলেম মিয়া বলেন, ‘এলাকাবাসীর নির্দেশে জাকিরের বসতঘরের সামনে বেড়া দেওয়া হয়েছে। আমার জায়গায় আমি বেড়া দিয়েছি। এটি আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি।’ এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আলম হাজারী জানান, বেড়া কেনো দিয়েছে সেটি তার জানা নেই। তবে দুইপক্ষের সমস্যা সমাধান করার জন্য একাধিকবার দরবার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এটি আদালতে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে বসতঘর ভাঙচুর ও বেড়া দেওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধান করা হবে।’
Leave a Reply