দুটি ২০ ফুটের কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় প্রায় ২২ টন খাদ্যসামগ্রী রপ্তানির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। সে অনুযায়ী ১ লাখ ৩ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারকের পক্ষে বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল করে চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান আর ইসলাম এজেন্সি। কিন্তু কনটেইনার দুটির সিল খুলে মিলল কেবল এক টনের মতো সুসজ্জিত মুড়ি, ড্রাই কেক, টোস্টের কার্টন। এ অবস্থায় গতকাল বুধবার চালানটি জাহাজীকরণের আগে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় বেসরকারি ইস্টার্ন লজিস্টিক ডিপোতে আটক করা হয়।
কাস্টম কর্মকর্তাদের ধারণা, রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার, কালো টাকা সাদা করার কৌশল এবং সরকারের কাছ থেকে অবৈধ উপায়ে নগদ প্রণোদনা নিতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনায় কাস্টম আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থপাচারের বিষয়টি তদন্ত করবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অ্যান্টিমানি লন্ডারিং শাখা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম আমাদের সময়কে বলেন, ‘ডিপো কর্তৃপক্ষ পণ্য কম থাকার বিষয়ে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে কালো টাকা পাঠিয়ে রপ্তানির নামে সাদা করার চেষ্টা করেছে রপ্তানিকারক। এ ছাড়া রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহ দিতে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানিতে সরকার নগদ প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এসব সুবিধার অপব্যবহার করেছে বাংলা ফুড। জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠানটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ খাতকে প্রশ্নবিদ্ধেরও অপচেষ্টা করেছে।’
Leave a Reply